আরও দুই-তিনদিন বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পিয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, গেল ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পিয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়, আবার কিছুটা কমে যায়। দু-একদিনের ব্যবধানে বাজার ওঠানামা করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত চার-পাঁচদিন ধরে বাজার বোঝার চেষ্টা করছি। বাজারে কী হচ্ছে; তা দেখছি। ৮০ টাকা কেজি পিয়াজ কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সেই তুলনায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দাম অনেক কম। সেখান থেকে পিয়াজ আমদানি করে বাজারকে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি। তিনি বলেন, আমরা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি, কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি।
অধিকাংশ কৃষক বলেছেন, তাদের কাছে পিয়াজ পর্যাপ্ত রয়েছে। দাম বৃদ্ধি হওয়ার আশায় তারা ধরে রেখেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা বলেছি। দুই-তিন দিনের মধ্যেই আপনারা সিদ্ধান্ত পাবেন যে পিয়াজ আমদানি করা হবে কিনা।
তিনি বলেন, গতকাল পিয়াজের দাম মণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে। যেহেতু কমার লক্ষণ আমরা আরও দু-একদিন দেখব। বর্তমান সময়ে প্রতিকেজি পিয়াজ সর্বোচ্চ ৪৫ টাকার মধ্যে থাকা ‘যুক্তিসঙ্গত’ হবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর পিয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছিল। মজুত ভালো ছিল। পরে অনেক পিয়াজ পচে গেছে। অনেক আড়ৎদার দাম বাড়ার আশায় পিয়াজ মজুত রেখে দিয়েছিলেন। পরে তা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু চলতি বছরে আমাদের পিয়াজ আবাদ কম হয়েছে।