সেন্টমার্টিনে তীব্র ঝড়ো হাওয়া, অসংখ্য গাছ-ঘর বিধ্বস্ত

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত এনেছে। মোখার প্রভাবে এখানে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

রোববার (১৪ মে) দুপুর ১টার পর থেকে তীব্র বেগে ঝড়ো হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বেশকিছু গাছ ও ঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ।

তিনি জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধি এবং সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দুপুর ১ টা থেকে শুরু হওয়া তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপের বিভিন্ন অংশে গাছ ও বেশকিছু ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তার সঠিক সংখ্যা এখন বলা যাচ্ছে না।

তিনি জানান, আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে সেন্টমার্টিনে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া হচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, সেন্টমার্টিনের মানুষ নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। বিকাল ৪ টার পর ঝড়ো হাওয়া কমতে পারে।

এদিকে টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার মাত্রা বেড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাগরও উত্তাল হয়েছে।

কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছে, দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ৭ মিলিমিটার সেন্টমার্টিনে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টি বাড়তে পারে।

এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ।

তিনি জানান, সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার মানুষ এসেছে। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে।