কবি নজরুলের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী আর নেই

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ ও সংগীতশিল্পী কল্যাণী কাজী মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর স্ত্রী।

গত নভেম্বর মাস থেকেই শারীরিক কষ্টে ভুগছিলেন কল্যাণী। ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছিল তাঁর। সেই সঙ্গে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। তারপর তাঁকে এসএসকেএমএ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসক রজত চৌধুরীর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মাল্টিঅর্গান ফেলিওর হয় তাঁর।

আজ শুক্রবার (১২ মে) ভোর সাড়ে ৫টায় কলকাতায় মারা যান তিনি।

জানা গেছে, গত নভেম্বর থেকে কলকাতার যোধপুর পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি কল্যাণী। পরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সহায়তায় কলকাতার মাল্টিসুপার স্পেশালিটি এসএসকেএম হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। সেখানে যদিও অবস্থান উন্নতি হয়নি।

কল্যাণী কাজীর ছেলে অরিন্দম কাজী বলেন, এসএসকেএম হাসপাতালে মরদেহ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী গায়ক ইন্দ্রনীল সেন হাসপাতালে আসার কথা রয়েছে। তাদের দিকনির্দেশনায় মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

এদিকে, কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোকবার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী এবং কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ তথা কাজী অনিরুদ্ধের স্ত্রী কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন। তার অসামান্য গায়কীতে গাওয়া নজরুলগীতি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখতো। কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে সঙ্গীতজগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি কল্যাণী কাজীর আত্মীয়-পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, সংগীতে অসামান্য অবদানস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ সালে কল্যাণী কাজীকে ‘সংগীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।