রাউজানে আবু তাহের হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ

হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে খুনি নুরুল আজিম

রাউজানের ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কলমপতি এলাকায় কলমপতি স্কুল সড়কের উপর ছুরিকাঘাত করে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় ।গত ৭ জুন শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার সময় এ হত্যাকান্ড সংগঠিত করে খুনিরা পালিয়ে যায় ।

পুলিশ হত্যাকান্ডের শিকার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দলিলাবাদ এলাকার মৃত দুলা মিয়া চৌধুরীর পুত্র আবু তাহের (৫০) এর লাশ উদ্বার করে । লাশ উদ্বারের সময়ে ছুরিকাঘাতে নিহত আবু তাহেরের প্যান্টের পকেটে থাকা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্বার করে । আবু তাহের লাশ ময়না তদন্তের পর পরদিন ৮ জুন শনিবার তার পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয় । এঘটনার পর নিহত আবু তাহেরের স্ত্রী বাদী হয়ে রাউজান থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করে। নিহত আবু তাহেরের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্বার কলা মোবাইল ফোনের কল লিষ্ট বের করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মেহের আলী মামলার তদন্ত শুরু করে । গত ১৫ জুন শনিবার দিবাগত রাতে মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকার এজাহার মিয়ার পুত্র নুরুল আজিম (২৫) কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মেহের আলী গ্রেফতার করে রাউজান থানায় নিয়ে আসে । নুরুল আজিম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবু তাহেরকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন । আবু তাহের হত্যাকান্ডের সাথে নুরুল আজিমের সাথে আরো দুজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নুরুল আজিম । গতকাল আবু তাহের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নুরুল আজিমকে পুলিশ আদালতে সোর্পদ করলে নুরুল আজিম আদালতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দ্বী প্রদান করেন । রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই নুরনবী জানান নুরুল আজিম সহ আরো দুজন আবু তাহের হত্যাকান্ডে অংশ গ্রহন করে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নুরুল আজিম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দ্বী দিয়েছে । নুরুল আজিমের সাথে হত্যাকান্ডে অংশ গ্রহন করা অপর দুজনের নাম নাম ও ঠিকানা তদন্তের স্বার্থে বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এস আইনুর নবী । হত্যাকান্ডের দিন আবু তাহেরকে ফোন করে নুরুল আজিম সহ অপর দুই খুনি রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের কলমপতি এলাকায় নিয়ে গিয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বলে নুরুল আজিম পুলিশ ও আদালতে স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানায়।