মঙ্গলবার আদালত চত্বর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই পদক্ষেপকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। ইমরানের আইনজীবী ফয়সাল ফরিদ চৌধুরীও আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আদালত গ্রেপ্তার বৈধ ঘোষণা করেছে। এখন ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য আমরা দলের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করছি। 
খবরে বলা হয়, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারক আমির ফারুক যদিও এর আগে ইমরান খানের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পরেই তিনি এই গ্রেপ্তারকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট দুপুরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় তাকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ভেতর থেকে তুলে নেয় রেঞ্জার্স সদস্যরা। এসময় গুলিতে আহত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হুইলচেয়ার ছুড়ে ফেলা হয় এবং তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ‘অমানবিকভাবে’ গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ করেছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
পিটিআই’র অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক রেঞ্জার্স সদস্য ইমরান খানকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে দ্রুত গাড়িতে তুলছে। আরেকটি ভিডিওতে তার আইনজীবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
জিও নিউজের খবর অনুসারে, একাধিক মামলায় জামিনের জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
সেখান থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল এনএবি কর্মকর্তাদের কাছে। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পাঁচ হাজার কোটি রুপি বৈধ করার জন্য কয়েকশ কোটি রুপি নিয়েছেন পিটিআই প্রধান ও তার স্ত্রী। তবে পিটিআই চেয়ারম্যান বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
