পাসপোর্ট করার আগে জেনে নিন কিছু টিপস

চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ বা শিক্ষার্থী হিসেবে অথবা জরুরি কোনো কাজে দেশের বাইরে কোথাও যাবেন, অথচ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ কিংবা বাকি আছে আর মাত্র কয়েকটি দিন অথবা মাস! এক্ষেত্রে কী করণীয়? তা অনেকেরই হয়তো জানা নেই।

এ ধরনের সমস্যায় কমবেশি সবাই পড়েন! তাই পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ৬ মাস থাকতেই সেটি রিনিউয়ের জন্য আবেদন করা ভালো। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। চাইলে আপনি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার একমাস বা কয়েকদিন আগে বা পরেও করতে পারবেন। এটি আবেদনকারীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

কীভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করবেন?
বর্তমানে বাংলাদেশের সব জেলা পাসপোর্ট অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে। তাই এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন করে আপনাকে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করার ফরম পূরণ করতে পারবেন নিজেই।

তবে ই-পাসপোর্টে রিনিউ করার ক্ষেত্রেও জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্যাদি অনুসরণ করতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন পাসপোর্টে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের হবহু মিল আছে কি না।

অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে একটি নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন। এক্ষেত্রে শুধু আইডি ডকুমেন্টস অপশন থেকে আগের এমআরপি পাসপোর্ট অপশনটিতে ক্লিক করুন ও বিস্তারিত তথ্য দিন।

কেন আপনি নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু অপশন আসবে যেমন- মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া, হারিয়ে বা চুরি হয়ে যাওয়া, তথ্য পরিবর্তনের জন্য, পাসপোর্ট নষ্ট বা ছিঁড়ে যাওয়া কিংবা অন্যান্য কারণগুলোর মধ্য থেকে আপনি বেছে নেবেন এক্সপায়ার্ড বা মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে- এই অপশনটি সিলেক্ট করবেন।

এবার পুরোনো পাসপোর্ট দেখে পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ ও মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ লিখুন। এরপর বাকি ধাপগুলো স্বাভাবিক ই-পাসপোর্ট আবেদনের মতই সম্পন্ন করে আবেদনটি সাবমিট করুন।

অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করার পর, আবেদনের কপি এ-ফোর সাইজের কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন। এরপর পাসপোর্ট রিনিউ ফি পরিশোধ করুন। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট দেখাতে করতে হবে। আর হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি দেখাতে হবে।

পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে কী কী কাগজ লাগবে?
১. আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
২. শনাক্তকরণ ডকুমেন্টের প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ)
৩. মানি অর্ডার বা ব্যাংক সার্টিফাইড চেক
৪. আগের পাসপোর্ট ও ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি
৫. সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে জিও বা এনওসি
৬. রেজিস্ট্রেশন ফরম বা আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি

পাসপোর্ট রিনিউয়ের ফি কত?
২০২৩ সালের তথ্য অনুসারে, পাসপোর্ট রিনিউয়ের ফি নতুন পাসপোর্টের ফি’র মতোই। এক্ষেত্রে ৫ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা। আর ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। অন্যদিকে ১০ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা ও ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।