‘২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই’

জনপ্রিয় ইউটিউবার ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদির ৩০শে এপ্রিল দিশা ইসলামকে বিয়ে করেছেন। স্ত্রীর পরিচয় সালমান প্রকাশ না করলেও নেটদুনিয়ায় ভেসে বেড়াতে থাকে দিশার ব্যক্তিগত নানা তথ্য ও ছবি। নেটিজেনদের দাবি- সালমান মুক্তাদিরের এটি প্রথম বিয়ে হলেও, দিশার দ্বিতীয়; দুই সন্তানের জননী তিনি। এ পরিস্থিতিতে দিশার সঙ্গে প্রেম-বিয়ের বিস্তারিত গল্প বললেন সালমান। সম্প্রতি ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আমি সবসময়ই বিয়ে করতে চেয়েছি। আমার এক প্রাক্তন আমাকে অপেক্ষায় রাখে। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করেনি। অন্যজন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ বলে, আমার চেয়েও আরও ভালো কাউকে তুমি পাবে। আরেকজন বলেছিল, বিয়ের জন্য সে প্রস্তুত নয়।

অবশেষে আমি এটা শিখেছি যে, ততক্ষণ সবাই আপনাকে বিয়ে করতে চায়, যতক্ষণ আপনার সঙ্গে আলাপচারিতা চলে। সত্যি আপনাকে কেউ বিয়ে করে না। সালমান বলেন, এরপর আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। শুরুতে আমরা বন্ধু ছিলাম। তারপর থেকে সে কখনো আমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেনি, অসম্মান করেনি। সবসময় মানুষের সামনে আমাকে সম্মানিত করেছে, যেখানে অন্যরা আমাকে টেনে নিচে নামিয়েছে। সর্বশেষ আমরা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি। কিন্তু সিনেমার মতো প্রত্যেকে আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। ৭ মাস আমার স্ত্রী সংগ্রাম করেছে, নরকের মধ্যদিয়ে সময় পার করেছে। সপ্তাহ, মাস সে আমাকে একটি মেসেজ কিংবা কল করতে পারেনি। মাসের পর মাস আমি তাকে দেখতে পাইনি। আমি ভেবেছিলাম আমার জীবনে আরেকটি ব্যর্থ প্রেম যুক্ত হতে যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে দিশাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন সালমান মুক্তাদির। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৭ মাস পর আমার স্ত্রীর বেস্ট ফ্রেন্ড ফোন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন- সব ছেড়ে সে (দিশা) যদি বাচ্চাদের নিয়ে তোমার দরজায় হাজির হয়, তুমি কি তাকে গ্রহণ করবে? নাকি তোমার জন্য বোঝা হয়ে যাবে? এমন বিক্ষিপ্ত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ ঘণ্টার কম সময় নিয়েছিলাম। এখনকার দিনে তার মতো শক্তিশালী ভালোবাসা নেই। আমি এমন কাউকে খুঁজে পাবো না, যে সালমান মুক্তাদিরের মতো একটি ছেলের জন্য সবকিছু ছেড়ে আসবে। সে আমার হৃদয়-আত্মা দেখেছে। সে তার সবকিছু ত্যাগ করেছে শুধু আমার জন্য।