ফটিকছড়িতে অধ্যক্ষের মৃত্যু : শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ফটিকছড়ি উপজেলার শাহনগর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের স্টোক জনিত মৃত্যু নিয়ে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্টিত মানব বন্ধনে বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানব বন্ধনে বক্তারা প্রধান শিক্ষকের অকাল মৃত্যুতে সভাপতি রাকিব বিন তৈহিদ ও স্থানীয় বাসিন্দা ঠিকাদার শহীদুল্লাহকে দায়ী করেন।

প্রতিষ্টান প্রধান জাহাঙ্গীর আলম একজন নম্র ভদ্র মানুষ আখ্যায়িত করে বক্তারা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি রাকিব ও শহীদুল্লার মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অধ্যক্ষ স্টোক করে মৃত্যু বরণ করেছে বলে উল্লেখ করেন। তারা এ ঘটনার জন্য প্রশাসনের নিকট সুষ্টু তদন্ত দাবী করেন।

এ বিষয়ে সভাপতি রাকিব বিন তৈহিদের বক্তব্য জানতে তার মুঠো ফোনে বার বার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অপর অভিযুক্ত শহীদুল্লাহ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রধান শিক্ষক সেদিন অনুষ্ঠান শেষ করে হাসি মুখে স্বাভাবিক ভাবে বাড়িতে চলে গেছেন। পরে তার স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আমাদের ঘায়েল করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে দাবী করেন তিনি। এলাকাবাসী এর জবাব অচিরেই দেবে বলে জানান শহীদুল্লাহ।

জানতে চাইলে লেলাং ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার উদ্দিন শাহীন বলেন সেদিনের অনুষ্টানে আমিও আমন্ত্রিত ছিলাম। উপজেলা পরিষদে সমন্বয় সভা থাকার কারনে যেতে পারিনি। পরে অধ্যক্ষের অসুস্থতার খবর পেয়ে নাজিরহাট হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে ডাক্তারের সাথে কথা বলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে পাঠিয়ে দিই। পরদিন মৃত্যু বরণ করেন। যা মেনে নিতে পারছিনা। স্কুলে কার সাথে অধ্যক্ষের কী হয়েছে জানেন না উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরো বলেন তবে অধ্যক্ষ মহোদয় অভিজ্ঞতায় কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আপাদমস্তক ভাল মানুষ ছিলেন।

উল্লেখ্য ২৭ এপ্রিল বিকালে স্কুল থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার পথে নাজিরহাট ঝংকার এলাকায় ঘুরে পড়ে যান প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। পথচারীরা এগিয়ে তৎক্ষনাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।অবস্থা বেগতিক হলে নগরীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু করেন তিনি।

পরে অধ্যক্ষের সাথে বিদ্যালয়ের সভাপতির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একটি অডিও এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অতিথি শহীদুল্লাহর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।