রোনালদোকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি

চুক্তি নবায়ন করতে হলে লিওনেল মেসিকে বেতন কমানোর শর্ত দিয়েছে পিএসজি। এরইমধ্যে আগের ম্যাচে অলিম্পিক লিঁওর কাছে হেরে সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয় আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। লা প্যারিসিয়ানদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলাকালে একটি ‘মেসিময়’ রাত উপহার দিলেন সাতটি ব্যালন ডি’অরের মালিক। রোববার মেসির গোল এবং অ্যাসিস্টে নিসের মাঠে ২-০ গোলের জয় পায় পিএসজি। দুই গোলে অবদান রেখে জোড়া কীর্তি অর্জন করেন মেসি। ছাড়িয়ে যান চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।

অ্যালিয়াঞ্জ রিভেইরা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার নুনো মেন্দেজের পাসে গোলটি করেন লিওনেল মেসি। এই গোলেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে যান পিএসজি তারকা। ইউরোপে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মেসি। ৮৪৬ ম্যাচ খেলে ৭০২ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

আগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ৯৪৯ ম্যাচ খেলে ৭০১ গোল করেছিলেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েছেন রোনালদো। এশিয়া ছেড়ে ইউরোপে না ফেরা পর্যন্ত এই রেকর্ডে মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই রনের।
নিসের বিপক্ষে ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় পিএসজি। মেসির পাসে স্কোরলাইন ২-০ করেন পিএসজির স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। আর অ্যাসিস্ট করে আরেকটি কীর্তি অর্জন হয় মেসির। নিসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগ পর্যন্ত ক্লাব ফুটবলে আর্জেন্টাইন ম্যাজিশিয়ানের গোলে অবদানের সংখ্যা ছিল ৯৯৮। নিসের বিপক্ষে দুই গোলে ভূমিকা রেখে স্পর্শ করেছেন ১০০০ গোলে অবদান রাখার মাইলস্টোন। ক্লাব ফুটবলে মেসির গোল সংখ্যা ৭০২ এবং অ্যাসিস্ট ২৯৮টি।

নিসের বিপক্ষে ম্যাচসহ ৩০ ম্যাচে ২২ জয় ও ৫ হারে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে ফরাসি লিগ ওয়ান টেবিলের শীর্ষে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। লিগ ওয়ানের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে ৩০ ম্যাচ পরে পয়েন্ট অর্জনে পিএসজির চেয়ে এগিয়ে শুধু মোনাকো। ২০১৬-১৭ মৌসুমে লিগ ওয়ানে প্রথম ৩০ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট অর্জন করেছিল দলটি।

২০২২ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বরের পর ঘরের মাঠে প্রথম হারের স্বাদ পেলো নিস। ৩০ ম্যাচে ১১ জয় ও ৭ হারে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ান টেবিলের আটে দিদিয়ের ডাইগার্ডের দল। দুইয়ে থাকা লঁসের পয়েন্ট ৬৩। অলিম্পিক মার্শেই ৬০ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তিনে।