অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসবাসকারী ইসরাইলিদের সংখ্যা কত

ফিলিস্তিন সংকটের শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৭৯ বছর আগে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড কেড়ে নিয়ে সেখানে বসতি গড়েছে। তারপরও যতটুকু জায়গা ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দ ছিল সেখানেও জোরপূর্বক ইসরাইলিদের বসতি গড়েছে। ১৯৪৮ সালের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ৬ থেকে সাড়ে ৭ লাখ ইসরাইলির জন্য বসতি নির্মাণ করা হয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে।

ইসরাইলের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। এর মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমেই বসবাস করে প্রায় ৬ থেকে সাড়ে ৭ লাখ ইসরাইলি। যা শতকরা হিসাবে ইসরাইলের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন শুরু করে। সে বছরের পর থেকে পরবর্তী ৫৫ বছরে ইসরাইলি সরকার সেটলাররা পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে অন্তত ২৫০টি থেকে ২৯০টি এলাকায় বসতি এবং সেনা চৌকি স্থাপন করেছে।

এর বাইরে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অপর অংশ গাজা উপত্যকায়ও ইসরাইলি বসতি ছিল। কিন্তু হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা থেকে ২০০৫ সালে ইসরাইলি বসতি উচ্ছেদ করা হয়।

ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মধ্যে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত বসতিগুলোতে বসবাস করে প্রায় ৬ লাখ ৮০ হাজারের বেশি ইসরাইলি। এর মধ্যে পশ্চিম তীরে ৪ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি এবং পূর্ব জেরুজালেমে বাস করে ২ লাখ ২০ হাজার। বাকিরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

ইসরাইলের যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল স্বীকৃত সীমান্ত রয়েছে এসব বসতি বা সেনা চৌকি সেই সীমান্তের বাইরে। ফলে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে এসব বসতি স্থাপন অবৈধ। চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন অনুসারে কোনো দখলকারী শক্তিকে তার দখলকৃত এলাকায় তার জনসংখ্যা স্থানান্তর করতে পারে না। কিন্তু ইসরাইল জেনেভা কনভেনশনকে আমলে না নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বসতি সম্প্রসারণ করে গেছে।