বিকলাঙ্গ শিশু

প্রতিবন্ধী শিশু পিতামাতার জন্য অনেক দুর্ভাগ্যের বিষয়। সুস্থ শিশু যেখানে আশীর্বাদ স্বরূপ, প্রতিবন্ধী শিশু সেখানে সারা জীবনের কষ্ট। সব সময় প্রতিবন্ধী শিশু জন্মানোর কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে যে সকল জানা কারণে গর্ভের শিশু বিকলাঙ্গ হতে পারে তা এখানে আলোচনা করবো। প্রথমেই পরিকল্পনা করে গর্ভধারণ করতে হবে। এতে করে মা যদি গর্ভধারণের আগে অসুস্থ থাকে তাহলে তাকে সুস্থ হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া যায়।
মায়ের যেসব রোগ বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম দিতে পারে গর্ভাবস্তায়
 অপুষ্টি
 রক্তস্বল্পতা
 অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
 উচ্চ রক্তচাপ
প্রথম তিন মাসের মধ্যে যদি-
চিকেন পক্স হয়
 রুবেলা
 মাম্পস
 জার্মান মিজেলস
 এইড্স
 ম্যালেরিয়া
 ইউরিন ইনফেকশন
 তীব্র জ্বর
 যক্ষ্মা
 থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা
এছাড়াও-
 প্রথম তিন মাসের মধ্যে যেকোনো সমস্যার কারণে ওষুধ সেবন করা
 নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে না থাকা
 গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি
 ৩৫ বছর বয়সের পর প্রথম গর্ভধারণ
 সিগারেট, তামাক ও অ্যালকোহল সেবন
 কিছু ক্ষেত্রে নেগেটিভ মায়ের পজিটিভ গ্রুপের শিশু হওয়া
তাই সুস্থ শিশুর জন্য আমরা গর্ভধারণের আগে পরিকল্পনা করা এবং সেই হিসেবে চলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেই। ফলিক এসিড ৪০০ মি.লি. গ্রাম করে গর্ভধারণের ১ মাস আগে থেকে শুরু করে পুরো সময় খাওয়া উচিত। নিয়মিত ডাক্তারের ফলোআপে থাকতে হবে। সঠিক পুষ্টির পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ
এ সবকিছুর পরেও বিকলাঙ্গ শিশু জন্মগ্রহণ করলে দেরি না করে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। কারণ অনেক জন্মগত ক্রটিই চিকিৎসাযোগ্য।

মনে রাখতে হবে সঠিক চিকিৎসার অভাবে যেন কোনো শিশু প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হয়ে না পড়ে।
লেখক: কনসালটেন্ট, শিশু বিভাগ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চেম্বার: (১) ডা. নাফিসা’স চাইল্ড কেয়ার শাহ্ মখদুম, রাজশাহী। (২) আমানা হাসপাতাল, ঝাউতলী মোড়, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী। মোবাইল-০১৯৮৪১৪৯০৪৯