এখনো কাটেনি ঈদের আমেজ

মির্জা ইমতিয়াজ শাওন:: বন্দর ও বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামে ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি। অফিস, আদালত, ব্যাংক-বীমা, বন্দর, বিমান বন্দর, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল সর্বত্র ফাঁকা। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় নগরী এখনো ফাঁকা। ঈদের ছুটির পর সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র-শনিবার থাকায় নাড়ির টানে গ্রামে যাওয়া মানুষ এখনো ফিরে আসেনি। ফলে চাপ নেই কর্মব্যস্ত নগরীর। ব্যস্ততম সড়কের চিরচেনা অসহনীয় যানজটের দৃশ্যও চোখে পড়েনি আজও।

ফেরেনি শ্রমজীবী মানুষও। বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন একটি দুটি চলাচল করলেও সেগুলোতে নেই যাত্রীদের ভিড়। কর্মব্যস্ত বন্দরনগরীর চাঞ্চল্য ফিরে আসতে আরো দুয়েকদিন লাগবে। আগামীকাল রোববার থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম কিছুটা কর্মব্যস্ত হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ঈদের ছুটিতে গ্রামে কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাওয়া মানুষ ফেরেনি চট্টগ্রাম শহরে। রেলস্টেশন কিংবা বাসস্টেশনে কিছু কিছু মানুষের ফিরে আসার চিত্র দেখা গেলেও তা খুবই নগণ্য। নগরীর অধিকাংশ সড়ক এখনো ফাঁকা। নগরীর বাসিন্দারা এখন যানজট ও দূষিত আবহাওয়ার চিরচেনা এই নগরে প্রাণ খুলে উৎসবের আমেজে চলাচল করছেন। কোথাও যানজট নেই, নেই বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। নগরীর অধিকাংশ সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল খুবই কম। সড়কে পর্যাপ্তসংখ্যক গণপরিবহন না থাকায় রিকশা এবং সিএনজি অটোরিকশায় করে মানুষ যাচ্ছে গন্তব্যে। ফলে লোকজনকে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট, অলিগলি এখনো কোলাহলমুক্ত।

এদিকে দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ৯৫ শতাংশ দোকান-আড়ত ও মোকাম বন্ধ ছিল গতকাল।  খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, এই সপ্তাহের পুরোটাই চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের প্রায় সব দোকান-আড়ত বন্ধ ছিল। আগামীকাল (রবিবার) থেকে বেচা-কেনা পুরোপুরি জমে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ছবি -সংগ্রহীত