আব্দুল মোনায়েম মুন্না’কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, আজ বাংলাদেশকে একটি দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। আমরা এতদিন উন্নয়নের গালগল্প শুনেছি, আমরা নাকি মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ তথা আমেরিকা-সিঙ্গাপুর হয়ে গেছি। গত কয়েকদিন আগে জাতিসংঘ থেকে স্বল্প উন্নত দেশের যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, ৪৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশর নাম এসেছে, যা আমদের জন্য লজ্জাজনক। সারা পৃথিবীর কাছে আওয়ামীলীগ একটি দেউলিয়া আর উলঙ্গ রাজনৈতিক দল হিসেবে আর মিথ্যাবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কষাঘাতে মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। শাসকগোষ্ঠী উন্নয়নের জিকির করে বাংলাদেশ থেকে গত ১৪ বছরে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তিনি আজ ৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না’কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ফ্যাসিষ্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারের দু:শাসনে ও নিষ্ঠুর হিং¯্রতায় গ্যাস বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ হাবুডুবু খাচ্ছে। গণতান্ত্রিক শক্তির উপর কর্তৃত্ববাদের সীমাহীন আঘাত যেন তীব্ররূপে আবির্ভূত হয়েছে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ বিনা ওয়ারেন্টে আব্দুল মোনায়েম মুন্নার গ্রেফতার। গোটা দেশটাই আজ আওয়ামী মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। তিনি এ সময় আরো বলেন, সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল মোনায়েম মুন্না যুব সমাজের অহংকার। এক মুন্নাকে হাসিনার বন্দিশালায় আটক রেখে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার স্বপ্ন সারাদেশের যুবদলের হাজারো মুন্না দু:স্বপ্নে পরিণত করবে। তিনি অবিলম্বে মুন্নাসহ সকল রাজবন্দির নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান। বিক্ষোভ মিছিলটি কাজীর দেউড়ী কাঁচা বাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নূর আহমদ সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর যুবদলের সহ সভাপতি নূর আহমদ গুড্ডু, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, অরূপ বড়–য়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবীর, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ হোসেন. আবদুল হামিদ পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা, আসাদুর রহমান টিপু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, জাফর আহমদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মদ সাগীর, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. নুরুল আমিন, সহ সম্পাদক বৃন্দ কমল জ্যোতি বড়–য়া, কামরুল ইসলাম, জিয়াউল হক মিন্টু, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, মো: জহিরুল ইসলাম জহির, আনোয়ার হোসেন আনু, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মো. আবুল কালাম আবু, মো. ইদ্রিছ, মো. ইউসুফ, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, মোঃ নেজাম উদ্দীন, নুর জাহেদ বাবলু, নগর যুবদলের সদস্য সোহাগ খান, সাইদুল হক সিকদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আজিজ চৌধুরী, থানা যুবদলের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, কুতুব উদ্দিন, বজল আহমদ, ইসমাঈল হোসেন লেদু, মো. সেলিম, মো. ইসমাঈল, সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মো. হাসান, শওকত খান রাজু, ইলিয়াছ খান, এ জে এম সোহেল, সারোয়ার হোসেন, মোঃ মুসা, মো. রাশেদ, থানা যুবদলের সি: যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, নূর খান, সাইফুল আলম রুবেল, খালেদ সাইফুল্লাহ, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, মো. সোহেল, ইউনুছ মুন্না, মোর্শেদ কামাল, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক এস এম আলী, মো. আকতার, মোহাম্মদ ইউনুছ, মো. হাসান, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান, আবু বক্কর বাবু, মো. সাইফুল, মো: আবু তৌহিদ, মনসুর আলম, মোঃ এস্কান্দারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।