লোহাগাড়া আহম্মেদ কবির হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আমিন (২৫) নামে রোহিঙ্গা এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা কুতুবপালং মধুরছাড় রোহিঙ্গা শরণর্থী ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মো. আমিন, চার নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আজজুর রহমানের ছেলে। যার নিবন্ধন নম্বর-৪০১৭০৫।
পুলিশ জানিয়েছেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের বাইয়ার পাড়ার আহম্মেদ কবির সকালে ধান ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য বাড়ি হতে বের হয়। পানি সেচ দেওয়া শেষে পার্শ্ববর্তী ফকিরের বাপেরখীল পাহাড়ি গাছ বাগানে লাকড়ি কাটতে যান। সন্ধ্যার পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি করে রাত সাড়ে দশটার দিকে পাহাড়ি গাছ বাগানে গলা ও মাথা কাটা অবস্থায় আহম্মেদ কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় মামলা হয়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কবির হোসেন নামে ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ক্লু-লেস এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় কুতুবপালং মধুরছাড় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী মো. আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মো.আমিন খুন হওয়া আহম্মেদ কবিরের বাড়ীতে বদলা হিসেবে কাজ করতো। দৈনিক মজুরি কাঙ্খিত পরিমাণে না দেওয়ায় ক্ষোভ এবং আহম্মেদ কবিরের সঙ্গে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকার লোভে আরও একজন সহযোগী রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ আহম্মেদ কবিরকে ধামা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধামাটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের পাশে খাল হতে উদ্ধার করা হয়েছে। মো. আমিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।











