আদানিদের স্বপ্নের উত্থানের পিছনে আরও একজন, কে তিনি?

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে প্রথমবার তার নাম জনসমক্ষে আসে। এখন এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, আদানি সাম্রাজ্য’র মুখোশ হতে পারেন গৌতম আদানি, কিন্তু অন্তরালের মুখ হলেন তার বড়ভাই ৭৪ বছরের বিনোদ লাল আদানি। প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে যেমন একজন নারীর অবদান থাকে, বিনোদের পিছনেও আছেন স্ত্রী রঞ্জনাবেন। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট বলছে, আদানিদের সাম্রাজ্য বিস্তারে সবথেকে বড় অবদান এই বিনোদ আদানির মস্তিষ্ক।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতের স্পর্শে গৌতম আদানির এমন রমরমা বলে বিরোধীরা যতই চেঁচান না কেন, আদানিদের বিস্তারে দুবাই প্রবাসী এই বড়ভাইয়ের অবদান সবথেকে বেশি। অথচ, আদানিদের কোনো ব্যবসাতেই ডিরেক্টর পদ অথবা প্রশাসনিক পদে নেই বিনোদ কিংবা রঞ্জনাবেন। কিন্তু, না থেকেও তারা আছেন সবখানে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ৮৫ নম্বর পাতার ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে যে, বৃটিশ ভার্জিন দ্বীপে, মরিসাস এবং দুবাইয়ে যে ৭টি আনলিস্টেড কোম্পানি আছে আদানিদের সেসবের মালিকানায় বেনামে আছেন বিনোদ কিংবা রঞ্জনাবেন। বিনোদ দুবাইয়ে থাকলেও তিনি সাইপ্রাসের নাগরিক। তার সম্পত্তি আছে মরিসাস, সাইপ্রাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানিদের বিদেশি ব্যবসার যাবতীয় বিষয়গুলো দেখতেন এই বিনোদ আদানি। যদিও খাতাকলমে তিনি আদানিদের কোনও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

দুবাইয়ে আদানিদের জুমেইরা লেক টাওয়ারের ২৭ তলায় অফিসে তিনিই শেষ কথা। আদানি পরিবারের এই শক্তিশালী পুরুষ গুজরাটে তন্তু ব্যবসায় হাত পাকান। পরে সিঙ্গাপুরে সে ব্যবসা উঠিয়ে নিয়ে যান। আদানিরা তাদের ৪১৩ পাতার প্রতিবাদপত্রে হিন্ডেনবার্গের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু এটা বোধহয় অস্বীকার করার আর উপায় নেই- যন্ত্র যদি হন গৌতম আদানি, তাহলে যন্ত্রীর নাম বিনোদ আদানি।