তেহরানের আজারবাইজান দূতাবাসে গুলি, নিরাপত্তা প্রধান নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত আজারবাইজানের দূতাবাসে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দূতাবাসের ‘হেড অব সিকিউরিটি’ নিহত হয়েছেন। আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, এমন পরিস্থিতিতে দূতাবাস থেকে কর্মীদের প্রত্যাহার করে নেবে দেশটি। কালাশনিকভ রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে দূতাবাসের নিরাপত্তা প্রধানকে হত্যা করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

এদিকে ইরানি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তেহরানের পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন রাহিমি শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অস্ত্রধারী ব্যক্তি তার দুই শিশু সন্তানসহ দূতাবাসে প্রবেশ করেছিল। এরপর তিনি দূতাবাসের নিরাপত্তা বিভাগে হামলা চালায়। এর ফলে দূতাবাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান নিহত ও অপর দুই নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়।

নিহত ব্যক্তি আজারবাইজানের নাগরিক।
ঘটনার পরপরই হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে হামলাকারী ব্যক্তি বলেছেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি তেহরানস্থ আজারবাইজান দূতাবাসে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি নিহত ব্যক্তির পরিবার, আজারবাইজানের জনগণ ও সরকারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান। তিনি বলেছেন, হামলা হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো এ বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে। হামলাকারীকে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই গুলির ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি দ্রুত এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। আলিয়েভ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তদন্ত এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবি জানাই। একটি কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে এমন আক্রমণ ‘অগ্রহণযোগ্য’।
গত কয়েক মাস ধরেই প্রতিবেশী দেশ দুটির উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরইমধ্যে এই গুলির ঘটনা ঘটলো। আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা বহুদিন ধরেই ইরানের কাছে দূতাবাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে আসছিল।