চিনির দাম আরও চড়া, বেড়েছে সবজি, রসুন ও মরিচের দাম

বাজারে আরও এক দফা বেড়েছে চিনির দাম। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রতি কেজি চিনির দাম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু জানুয়ারিতেই বাড়তি দামে চিনি বিক্রি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না। নতুন করে দাম বাড়ায় চিনির বাজার লাগামছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের। এদিকে নতুন করে বেড়েছে সবজি রসুন ও মরিচের দাম। সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

তালতলা বাজারের খুচরা চিনি বিক্রেতা সামিউল বলেন, আগেও নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হয়নি। এখন নতুন করে দাম বেড়েছে। এ ঘোষণার পর থেকে সরবরাহ কম। বোঝা যাচ্ছে না পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, চিনি নিয়ে অস্থিরতা দীর্ঘদিন ধরে। সরকার কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে না বলে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শুধু চিনি নয়, মসলাসহ আদা-রসুন ও শুকনো মরিচের দামেও অস্থিরতা চলছে। সপ্তাহান্তেই বাড়ছে দাম। এখন প্রতি কেজি আদা ১৫০-২০০ টাকায় ঠেকেছে। রসুনের দামও বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকা। বাজারে তুলনামূলক কিছুটা কম দামে দেশি জাতের আদা-রসুন থাকলেও সেগুলোর চাহিদা কম।

আগে যে শুকনো মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকায় তা এখন ৫০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। আমদানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন সংকটে পণ্যটির রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়েছে। বর্তমানে শুকনো মরিচ কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ৩৫০-৫০০ টাকায় ওঠানামা করছে। আসন্ন রমজানের আগে সরবরাহ না বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতে আমদানি করা ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে (গুজরাটি) ৩২০-৩৭০ টাকায়। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা মরিচের কেজি ৩৫০-৩৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় পরে মরিচের দাম এতটা বেড়েছে।

এদিকে বাজারে দুই সপ্তাহ আগে সরু চালের দাম বেড়েছে। সঙ্গে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। স্বস্তি নেই এখন শীতের সবজিতেও। প্রায় প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে ৫-১০ টাকা বেশিতে। আজও এসব পণ্যের দাম বাড়তি দেখা গেছে।

বাজারভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের বিআর২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। আর মোটা চাল ৫৪-৫৫ টাকা কেজি।
অন্যদিকে শীত মৌসুম শেষ না হলেও বাজারে দাম চড়া মৌসুমী সবজির। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতির কথা বললেও বাস্তবে তেমনটি দেখা যায়নি। বরং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের চিত্রই দেখা গেছে। এরই মধ্যে কেজিতে দাম বেড়ে গেছে ১০ টাকা পর্যন্ত।