১৮৬০ সালের পর এমন ঘটনা ঘটেনি মার্কিন কংগ্রেসে

তিনদিনে ভোটাভুটি হয়েছে মোট ১১ বার। কিন্তু তবুও নির্ধারিত হলো না কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষধের স্পিকার। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতি হয়েছিল ১৮৬০ সালে। এখন আবার ২০২৩ সালে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। রিপাবলিকান দলের মধ্যে থাকা মধ্যপন্থী এবং ডানপন্থীদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছিল, কেভিন ম্যাকার্থিই হবেন রিপাবলিকান দলের স্পিকার। কিন্তু প্রয়োজনীয় ২১৮ ভোট পাচ্ছেন না তিনি। যদিও তার দল রিপাবলিকান পার্টির আসনসংখ্যা ২২২টি। কিন্তু এরমধ্যে ২০ জন জানিয়ে দিয়েছেন, তারা ম্যাকার্থিকে ভোট দেবেন না।

সর্বশেষ যখন এমন অবস্থা হয়েছিল, তখন দাস প্রথার মতো গুরুতর ইস্যু নিয়ে বিভেদ ছিল আইনপ্রনেতাদের মধ্যে। এবার যদিও তেমন কিছুই নেই।

ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ওই আইনপ্রনেতাদের অভিযোগ, তার কর্মকাণ্ডে তাকে আর বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছিল ২০২৩ সাল এলেই হাউসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে রিপাবলিকান দল। এতক্ষণে জয়োৎসব পালন হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, নিজ দলের মধ্যেই ঐক্য নেই।
হাউসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ব্যবধান অত্যন্ত কম। এই অবস্থার মধ্যেই মধ্যপন্থি ও ডানপন্থীদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে। অন্য অনেক ইস্যুতেই বিষয়টি আলোচনায় ছিল। তবে স্পিকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তা একেবারে সামনে চলে এলো। বিদ্রোহ করে বসা রিপাবলিকান সদস্যদের একজন নর্মান জানিয়েছেন, ম্যাকার্থির উপর তাদের আস্থা নেই। তিনি যা বলেন, তা করেন বলে তারা বিশ্বাস করেন না। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন যে, ম্যাকার্থির পক্ষের লোকেরা তাদের হুমকি দিচ্ছে। বিরূপ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু তারা ম্যাকার্থিকে স্পিকার হতে দেবে না।

ম্যাকার্থি যদিও স্পিকার হতে আপোষের আশ্বাস দিয়েছেন। বিদ্রোহীরা কি চায় তার কিছু দাবি তিনি মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে বিক্ষুব্ধরা তাদের বক্তব্যে অনড়। তাদের দাবি, ম্যাকার্থিকে সরে দাঁড়াতে হবে। তাদের বিশ্বাসভাজন কোনো নেতাকে স্পিকার করতে হবে। গত তিনদিন ধরে হাউসে শুধু ভোটাভুটি হচ্ছে। কিন্তু কেউ তাতে জয় পাচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে উত্তাপ চলছে। উদ্বিগ্ন মার্কিনিরা বলছেন, ব্যক্তিগত রাজনীতির বাইরে গিয়ে দেশের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১৮৬০ সালে ৪৪ বার ভোটাভুটির পর স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে যায় কিনা তার দিকেও নজর রাখছে বিশ্ব মিডিয়া।