ডুবে যাওয়া থাই যুদ্ধ জাহাজ থেকে ৬ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২৩

ডুবে যাওয়া থাই যুদ্ধ জাহাজ থেকে ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৩ ক্রু। রয়্যাল থাই নেভি এক বিবৃতিতে উদ্ধার অভিযানের সর্বশেষ আপডেট জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ক্রুদের খুঁজতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ খবর দিয়েছে দ্য প্রিন্ট।

খবরে জানানো হয়, গত সোমবার মাঝরাতে থাইল্যান্ড উপসাগরে ঝড়ের কারণে ডুবে যায় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ সুখোথাই। এতে প্রাথমিকভাবে ৩৩ ক্রু নিখোঁজ ছিল বলে জানায় দেশটি। এরমধ্যে ছয় জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ থাকা ২৩ ক্রুদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। থাই নৌবাহিনী জানিয়েছে, এই ক্রুদের খুঁজতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমানও অনুসন্ধানে নেমেছে।

সোমবার জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় সমুদ্রে ব্যাপক ঝড় চলছিল।

ঝড়ের কারণে জাহাজের এক্সস্ট পাইপে পানি ঢুকে যায় এবং এতে জাহাজের গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রিক সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই ২৫২ ফুট বা ৭৭ মিটার লম্বা যুদ্ধজাহাজ এইচটিএমএস সুখোথাই ডুবে যায়। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইলেক্ট্রিক শাটডাউনের পর যুদ্ধজাহাজটির প্রধান পাওয়ার সিস্টেমও বন্ধ হয়ে যায়। এরফলে জাহাজ থেকে পানি পাম্প করে বের করার আর কোনো পথ থাকে না ক্রুদের কাছে। এক পর্যায়ে জাহাজটি আস্তে আস্তে সাগরে ডুবে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জাহাজটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ক্রুরা। অবশেষে সোমবার রাত ১২টা ১২ মিনিটে সুখোথাই সমুদ্রের নিচে ডুবে যায়।
৯৬০ টন ওজনের জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। ১৯৮৭ সালে থাই নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় জাহাজটি। মার্কিন নেভি ক্যাপ্টেন কার্ল শুস্টার বলেন, এত পুরোনো আমলে তৈরি জাহাজ হওয়ায় এটিকে বাঁচানো থাই ক্রুদের জন্য কঠিন ছিল। এ ধরণের জাহাজে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে এটি অন্ধকারে ডুবে যায়। তখন আলাদা ডিজেল পাম্প দিয়ে কাজ চালাতে হয়। কিন্তু ৪০ বছর পুরোনো একটি ছোট যুদ্ধজাহাজের ক্ষেত্রে সফল হওয়ার সুযোগ একেবারেই কম ছিল।