চ্যাম্পিয়ন হয়েও দুইয়ে আর্জেন্টিনা, শীর্ষে ব্রাজিল

৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়েছে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সকে হারিয়ে হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপ জিতলেও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিলকে টপকাতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়া সেলেসাওরা শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

সোমবার রাতে ফিফার নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। এক নম্বর দল ব্রাজিলের পরই রয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ জিতেছে ব্রাজিল। গ্রুপপর্বে ক্যামেরুনের কাছে হারের পর কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরেছে। আর্জেন্টিনা চারটি খেলা নির্ধারিত সময়ে জিতেছে এবং দুটি ম্যাচে টাইব্রেকারে জিতেছে। গ্রুপপর্বে একটি ম্যাচ হেরেছে।

তাই সেলেসাওরা শেষ আট থেকে বাদ পড়লেও চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা তাদের পেছনে ফেলতে পারেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে বেলজিয়ামকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছিল ব্রাজিল।
বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল ফ্রান্স এক ধাপ এগিয়ে তৃতীয় স্থানে। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়া বেলজিয়াম দুই ধাপ পিছিয়ে চারে নেমে গেছে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা ইংল্যান্ড ৫ নম্বর স্থানে বহাল রয়েছে। দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে নেদারল্যান্ডসের। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দলটি র‌্যাঙ্কিংয়ের ৬ষ্ঠ দল। ৫ ধাপ এগিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপের তৃতীয় হওয়া দলটি ১২তম থেকে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারা ইতালি দুই ধাপ পিছিয়ে ৮ম। পর্তুগাল নয় নম্বরেই বহাল রয়েছে। তিন ধাপ পিছিয়ে স্পেন নেমে গেছে ১০ম স্থানে। বড় লাফ দিয়েছে বিশ্বকাপের চমক মরক্কো। সেমিফাইনালিস্ট দলটি ১১ ধাপ এগিয়ে ১১তম স্থানে রয়েছে। ১১ ধাপ উন্নতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে খেলা দলটি ৩৮তম হিসেবে আসর শুরু করেছিল। নতুন র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৭তম স্থানে রয়েছে। ক্যামেরুনের উন্নতি হয়েছে ১০ ধাপ। গ্রুপপর্বে ব্রাজিলকে হারানো দলটি ৪৩তম থেকে ৩৩তম স্থানে উঠে এসেছে।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ২০ দল
১. ব্রাজিল
২. আর্জেন্টিনা
৩. ফ্রান্স
৪. বেলজিয়াম
৫. ইংল্যান্ড
৬. নেদারল্যান্ডস
৭. ক্রোয়েশিয়া
৮. ইতালি
৯. পর্তুগাল
১০. স্পেন
১১. মরক্কো
১২. সুইজারল্যান্ড
১৩. যুক্তরাষ্ট্র
১৪. জার্মানি
১৫. মেক্সিকো
১৬. উরুগুয়ে
১৭. কলম্বিয়া
১৮. ডেনমার্ক
১৯. সেনেগাল
২০. জাপান