অপহৃত শিক্ষার্থীসহ ৮ জনকে ৪৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি খালে মাছ শিকারে গিয়ে অপহৃত শিক্ষার্থীসহ ৮ জনকে ৪৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উল্টো অপহরণকারীরা ফোন করে জন প্রতি ৩ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

 

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া পাহাড়ের ভেতর পানির খাল থেকে তাদেরকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল হতে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের হদিস পায়নি আইন-শৃংখলা বাহিনী।

অপহৃতরা হলেন, বাহারছডা ইউনিয়নের জাহাপুড়া এলাকার রশিদ আহামদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, মমতাজ মিয়ার ছেলে রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে করিম উল্লাহ, কাদের হোসনের ছেলে নুরুল হক, তার ছেলে নুর মোহাম্মদ ও রশিদ আহমদের ছেলে আবছার।

অপহরণের শিকার রিদুয়ানের পিতা মমতাজ জানান, আমার ছেলেসহ ৮ জন পাহাড়ি খালে মাছ শিকারে গেলে পাহাড় থেকে নেমে আসা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

সোমবার সারাদিনেও পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রোববার রাত সাড়ে ৯টা ও সোমবার দিনে অপহরণকারীরা ফোন করে জন প্রতি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।

বাহারছড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজ পড়ুয়া ৩ শিক্ষার্থীসহ ৮ জন পাহাড়ি খালে সখ করে মাছ শিকারে যায়। সেখানে অস্ত্রধারীদের কবলে পড়েন তারা। পাহাড়ি এ এলাকাগুলো দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। কাউকে একা পেলে সুযোগ বুঝে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহরণ করতো। কিন্তু আজকে এতগুলো লোককে নিয়ে যাওয়া এবং তিন লাখ করে মুক্তিপণ দাবি কতটুকু দুঃসাহসিক ঘটনা তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানি। অতীতে মুক্তিপণ না পেয়ে অপহৃতকে হত্যার রেকর্ডও রয়েছে। রোববারের ঘটনায় আমরা আতংকিত।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম জানান, বাহারছড়ার জাহাজপুড়া এলাকায় ৮ জনকে অপহরণে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলসহ আশপাশে অভিযানে যায়। রাতেও পুলিশের একটি বড় টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। অপহরণকারীদের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ওসি আরও জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) শাকিল আহমদ ও বাহাড়ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও ডিবির একটি টিম ঘটনাস্থলসহ পাহাড়ে অভিযান চালায়। এটা অব্যাহত রাখা হয়েছে। অপহরণকারীদের অবস্থান সম্পর্কে জানা গেলে প্রয়োজনে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।