জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ১০টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অভিবাদন মঞ্চে আসেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী অভিবাদন মঞ্চে আসার পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে খোলা জিপে চড়ে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বিভিন্ন পদাতিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একের পর এক রাষ্ট্রপতিকে সালাম জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি তাদের সালাম গ্রহণ করেন।

এর আগে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ; এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানরা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন মহান এ বিজয় দিবস।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দুলাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন আজ (শুক্রবার)।