“মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে”

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ মহান শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চুয়েট পরিবার। এ উপলক্ষ্যে আজ ১৪ই ডিসেম্বর (বুধবার) ২০২২ খ্রি. সকাল ১০.৪০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে শহীদ বু্িদ্ধজীবী দিবসের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি জনাব আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও সহকারী পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আজকের এইদিনে আমরা দেশের সূর্যসন্তানদের হারিয়েছি। বুদ্ধিজীবীরা দেশের কৃষক-শ্রমিক জনতাকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতার আগমুহূর্তে এই দেশকে মেধাশূণ্য করতেই তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যাতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ দেশটা দাঁড়াতে না পারে, আমাদের স্বাধীনতা যেন অর্থবহ না হয়। আর ঘৃণ্য কাজে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন আমাদের দেশেরই কিছু বিপথগামী দুষ্কৃতিকারী। দেশের আনাচে-কানাচে অসংখ্য বধ্যভূমি যার সাক্ষ্য বহন করে।” তিনি আরও বলেন, “ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা ত্যাগের প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের  বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ও আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখন ষড়যন্ত্রে করে যাচ্ছে। তাদের প্রতি আমাদের তরুণ সমাজকে সজাগ থাকতে হবে।”  পরে সন্ধ্যায় ৭.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।