অনৈতিক ভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে

১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার মাহফিলে ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক
সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মিথ্যা মামলায় অনৈতিকভাবে সাজা দিয়ে
বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। ব্যাংকে রক্ষিত ২ কোটি টাকা
বৃদ্ধি পেয়ে ৬ কোটি টাকা হলেও অন্যায়ভাবে আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছে।
রাজনৈতি প্রতিহিংসার কারণে একের ্পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা
জিয়াকে কারান্তরীণ করেছে। মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে এই অনৈতিক সরকার
ক্ষমতায় এসে একদলীয়ভাবে দেশ চালাচ্ছে। অনৈতিকভাবে সরকার ক্ষমতায় অসার
কারণে দেশ আজ দুর্নীতি, দু:শাসন, নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ ও নৈরাজ্যে ভরে
গেছে। এই সরকারের কোন জবাবদিহিতা জনগণের কাছে নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে
নির্বাচিত নয়। তিনি আজ ২৪ মে শুক্রবার ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড
বিএনপির উদ্যোগে গণি কলোনীর সম্মুখে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের
৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন।  ডা.
শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের
ক্রান্তিকালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর
রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে এই দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে
পড়েছিল। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া
দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রকে এদেশের জনগণ প্রতিহত করবে।  তিনি
আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনসমর্থনে দেউলিয়া। এই বিষয়টি গত সংসদ নির্বাচনেই
টের পেয়েছে তারা। তাইতো আগের রাতেই ভোট সম্পন্ন করে রেখেছে। বিএনপি
বাংলাদেশের একমাত্র দল দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণকে
অন্ধকার থেকে আলোর পথের সন্ধান দিয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর
রহমান দেশের জনগণকে এক দলীয় শাসন থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জনগণকে
স্বৈরশাসক থেকে মুক্তি দিয়ে ছিল সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপিকে
ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ষড়যন্ত্রকরীদের সকল চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে বেগম
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় এসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে
যাচ্ছিল কখনই নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে
অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। প্রতিশোধ পারায়ন সরকার বেগম জিয়াকে
কারান্তরীন করে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত করেছে। বেগম জিয়ার প্রতি যে অমানবিক
আচারণ করা হচ্ছে দেশের জনগণ কখনো ক্ষমা করবে না। এদেশের সংগ্রামী জনতা
সরকারের সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।
ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সেকান্দর আলমের সভাপতিত্বে, মহানগর
বিএনপির গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহীম বাচ্চু ও ওয়ার্ড বিএনপির
সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দিন এর পরিচালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন,নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, উপদেষ্টা
আলহাজ্ব ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন
লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম,
সম্পাদকবৃন্দ এম আই চৌধুরী মামুন, আমিন মহামুদ,  সহ সম্পাদকবৃন্দ মোঃ
ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক খোরশেদ আলম, ইসমাইল বাবুল, থানা বিএনপির সাধারণ
সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, নূর হোসেন, নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি
মো. মহসিন, মহানগর বিএনপির সদস্য এড. সৈয়দুল আমিন, রেজিয়া বেগম মুন্নি,
সাহেদা বেগম, মহানগর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম,
জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আসাদুর রহমান টিপু, আলাউদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ
ইদ্রিস, এস এম ফারুক, ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ মোঃ আলাউদ্দিন, গোলজার
হোসেন লেদু, নাজমুল হক নাজু, খোরশেদ আলম, নাছির উদ্দিন, জমির উদ্দিন
বাবলু, আবদুল কাদের, শফিকুল ইসলাম, ইসমাইল শরিফ, এস এম পারভেজ, আইয়ুব
খাঁন, হোসেন সওদাগর, রোকনউদ্দৌলা, আমিরুল ইসলাম মোল্লা, মোঃ ইদ্রিস হাছি,
রাজা মিয়া, নূর মোহাম্মদ, মোঃ মনছুর, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা
মোস্তাকিম মাহামুদ, মোঃ জাবেদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন লেদু, ওয়াসিম মহামুদ,
শফিউল বাসার সাজু, মোঃ শওকত হোসেন, মোঃ ইমন, মোঃ সুমন, ফোরকান, মোঃ মুছা,
মোঃ সাব্বির প্রমুখ।