ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৬২

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় তিনশ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে আছে আরও বহু মানুষ। ফলে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

খবরে জানানো হয়, ইন্দোনেশিয়ার চিয়ানজুর শহরের কাছে সোমবার ৫.৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে দেশজুড়ে শত শত ভবন ভেঙে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস সৃষ্টি হয়। হাসপাতাগুলোও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আহতদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া আক্রান্ত অঞ্চলগুলো ছিল বিদ্যুৎহীন। অনেককেই তখন হাসপাতালের বাইরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

সোমবার সন্ধ্যার পর পশ্চিম জাভার গভর্নর রিদওয়ান কামিল জানান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। চিয়ানজুর পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে।

ভূকম্পটি মূলত যে অঞ্চলে আঘাত করেছে সেখানে জনবসতি বেশ ঘন এবং এলাকাগুলো ভূমিধসপ্রবণ। উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন। স্থানীয় বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে সেসময় একজন নারী ও তার শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দুর্গত গ্রামগুলো থেকে আহত-নিহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে বিধ্বস্ত বহু বাড়িঘর এবং দোকানপাট দেখা গেছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর মধ্যে একটি হাসপাতাল এবং একটি আবাসিক মাদ্রাসাও রয়েছে। রাজধানী জাকার্তায় প্রায় এক মিনিট ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সেসময় বিভিন্ন অফিস ভবন থেকে লোকজন ভয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
আইনজীবী মায়াদিতা ওয়ালও জানান, অফিসে কাজ করার সময় হঠাৎ টের পেলাম পায়ের নিয়ে মেঝে থরথর করে কাঁপছে। প্রথমে ঠাণ্ডা মাথায় বোঝার চেষ্টা করি কী হচ্ছে। কিন্তু কম্পন বাড়তে থাকে এবং বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে তা ছিল। উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই একটি ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ। ২০১৮ সালেও ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে সুলায়েসি দ্বীপে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।