ধর্মঘট তোয়াক্কা করেন না মৌলভীবাজারের বিএনপি নেতারা

সিলেটে বিএনপির সমাবেশে মৌলভীবাজার থেকে নেতাকর্মীরা যেন যেতে না পারেন সেজন্য এ ধর্মঘট বলে মনে করছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান)।
সিলেটে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ।

এই সমাবেশে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম হবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছে বিএনপি। প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে সেভাবে। কিন্তু সমাবেশের আগে সিলেটে কোনো ধর্মঘট না থাকলেও মৌলভীবাজারে দুইদিনব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) ধর্মঘটের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, বিএনপির সিলেটের গণসমাবেশের আগে এগুলো ক্ষমতাসীন সরকারের কারসাজি। আমাদের নেতাকর্মীরা এসব ধর্মঘট তোয়াক্কা করেন না। এরইমধ্যে মৌলভীবাজার থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। আমিও এখন সমাবেশস্থলে আছি। আমরা আমাদের জেলার জন্য প্যান্ডেল প্রস্তুত করছি।

পরিবহন বন্ধ করে কোনো লাভ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে আসবেন। এই ধর্মঘটকে আমরা পাত্তা দিচ্ছি না। দেশের অন্যান্য স্থানেও সরকারের মদদে বিএনপির সমাবেশ নস্যাৎ করতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। কিন্তু লাখো মানুষের স্রোত ঠেকানো যায়নি, সিলেটেও সম্ভব হবে না।

এদিকে, মৌলভীবাজারে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ঘোষণা করেছে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ।

বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, মৌলভীবাজার জেলার সকল পরিবহন মালিক সমিতি ও সড়ক শ্রমিক ইউনিয়নের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ, ব্যাটারিচালিত টমটমের অবৈধভাবে চলাচল বন্ধ, ট্রাক, লরি, পিকআপ, ক্যাভার্ড ভ্যানে চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ মৌলভীবাজার জেলায় একটি স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজার জেলার সব পরিবহন মালিক সমিতি ও সড়ক শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সভায় এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। আমাদের কিছু দাবি দীর্ঘদিন ধরে পূরণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

আগামী শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।