সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বিভিন্ন টার্গেটে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গত দু’দিনে এমন অন্তত তিন দফা হামলা চালিয়েছে দেশটি। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মধ্যরাতের পর থেকেই ইসরাইলি হামলা শুরু হয়। দামেস্কের আশেপাশে কিছু সাইটকে লক্ষ্যবস্তু করে এ হামলাগুলো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি সিরিয়া। এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
এদিকে সাউত আল আসিমাহ সহ স্থানীয় নেটওয়ার্কগুলি বলেছে যে, রাজধানীর দক্ষিণ-পূর্বে সাইদা জেইনাব এলাকায় ওই হামলা হয়েছে। ওই এলাকায় ইরানপন্থী সশস্ত্র দলগুলো মোতায়েন রয়েছে। অন্যান্য সূত্র থেকে জানা গেছে, দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশেপাশেও বেশ কয়েকটি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ শোনা যায়। ইসরাইল ইদানিং সিরিয়ায় হামলা বৃদ্ধি করেছে।
সিরিয়ায় মোতায়েন থাকা ইরানি বাহিনীগুলোকে নিজের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি মনে করে দেশটি।
সিরিয়া জানিয়েছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবিলা করেছে এবং তাদের বেশ কয়েকটিকে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে। সিরিয়ার সরকারী সংবাদ মাধ্যম সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি বা সানা একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে যে, সর্বশেষ বিমান হামলায় বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। অবকাঠামো কিছু ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতর ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, হিজবুল্লাহসহ ইরানপন্থী সংগঠনগুলোকে অস্ত্র দিতে ইরান সিরিয়ার দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে। এ কারণে ইসরাইল এই বিমানবন্দরটিকে তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করেছে। গত মঙ্গলবার ইসরাইলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সিরিয়ায় ইরানের ৯০ শতাংশ সামরিক অবকাঠামো ইসরাইলি হামলার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত কয়েক বছর ধরে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী সিরিয়ার দামেস্ক, আলেপ্পো এবং লাতাকিয়ায় সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন টার্গেটে শত শত হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা প্রথম থেকেই এই অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে আসছেন। যতদিন সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি থাকবে ততদিন তারা হামলা চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।











