চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামে বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করার লক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটি ইউনিটে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। তারেক রহমান সাহসের সাথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনেই চট্টগ্রামে সাংগঠনিক কার্যক্রম চলবে। কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচিত হবে। সবকিছু ওপেন হবে। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। সঠিক প্রক্রিয়ায় ইউনিট কমিটি গঠন হবে।
তিনি বিগত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মহাসমাবেশ স্বতস্ফুর্ত ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রেরিত শুভেচ্ছা বার্তা উপস্থিত নেতাকর্মীদের পড়ে শুনান।
তিনি বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে কাজীর দেউরী সমাদর কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে তাদের টিকে থাকার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই তারা আবোল তাবল বক্তব্য দিচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কেউ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। শান্তিতে বসবাস করতে পারবেও না যতদিন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে আছে। রাজপথে নামলে আমাদেরকে বাধা দেবে এমনকি গুলি করতে পারে। এই গুলিকে বরণ করে রাস্তায় দাঁড়ালে শেখ হাসিনা থাকবে না। কারণ দেখবেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার আপনজনরা আবোল তাবোল বলা শুরু করেছে। তালগোল পাকিয়ে ফেলছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে গাইড লাইন দিয়েছেন ঠিক সেভাবেই চট্টগ্রামের সব ইউনিটের কমিটি গঠন হবে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় কার্যক্রম বেগবান করার। চট্টগ্রামে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে পুরোদমে কাজ চলছে। নেতাকর্মীদের নামে মামলা হামলা, কেন্দ্রীয় ও জাতীয় কর্মসূচী পালন সহ নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে যেতে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, অচিরেই কাউন্সিল করে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বের করে চট্টগ্রামের বিএনপিকে সাজানো হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
