কবর থেকে মহিলাকে রক্ষা করতে সাহায্য করলো তার ‘অ্যাপল ওয়াচ’

স্বামী ছুরি মেরেছিলেন বুকে। ওয়াশিংটনে ৪২ বছর বয়সী সেই মহিলার জীবন বাঁচালো একটি অ্যাপল ওয়াচ। দ্য ডেইলি বিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীণ সৈন্যের দ্বারা সংঘটিত নৃশংস এই কাজের কারণ ছিল একটি কুৎসিত বিবাহবিচ্ছেদের যুদ্ধ। যেখানে তিনি তার স্ত্রীর কাছ থেকে পেনশনের টাকা সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯১১-এ ফোন পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ৪২ বছর বয়সী ইয়ং সুকের বাড়ি ওয়াশিংটনের লেসিতে ছুটে যায়। পুলিশ অফিসাররা যখন ঠিকানা শনাক্ত করতে সেল ডেটা ব্যবহার করে বাড়িতে পৌঁছায় তখন বাড়িটি খালি ছিল এবং গ্যারেজের দরজা খোলা ছিল। কর্তৃপক্ষের মতে, বাড়িটি তার আগের পারিবারিক সহিংসতার ইতিহাসের জন্য কুখ্যাত ছিল।

ইয়ং সুকের বিয়ে হয়েছিল ৫৩ বছর বয়সী চে কিয়ং আনের সঙ্গে। কিন্তু, প্রথম থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। ওই দম্পতির মেয়ে জানিয়েছেন, তার বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। তারা একসঙ্গে থাকেন না।

কিন্তু, তার বাবা প্রায়শই দৈনন্দিন কাজকর্ম করিয়ে নেন তার মাকে দিয়ে। গত ১৬ অক্টোবর সেরকমই কোনও কাজে দুপুর ১টা নাগাদ বাড়ি এসেছিলেন চে কিয়ং। সেদিন দুজনের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল। তর্কাতর্কির মধ্যেই ইয়াং সুক আনকে বারবার করে ছুরিকাঘাত করেছিল চে কিয়ং। তারপর, তার হাত-পা ডাক্ট টেপ দিয়ে বেঁধে পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল।
জঙ্গলের মধ্যে এক জায়গায় একটি অগভীর কবর খুঁড়ে ইয়াং সুককে জীবন্ত কবর দিয়েছিল। ধস্তাধস্তির মাঝে ইয়ং নিজের প্রাণ বাঁচাতে তার অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করে ৯১১ নম্বরে কল করার চেষ্টা করেছিলেন। তার মুখ বাঁধা ছিল তাই ৯১১ নম্বরে জরুরি পরিষেবায় থাকা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। ইয়াং সুক অগভীর কবর খুঁড়ে কোনোমতে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর তার হাতে থাকা অ্যাপল সংস্থার স্মার্টওয়াচ থেকে তিনি পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ইয়ং সুককে যখন তারা উদ্ধার করেছিল, সেই সময় তার গলায়, মুখের নিচের দিকে এবং গোড়ালির চারপাশে ডাক্ট টেপ বাঁধা ছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পর একই দিনে চে-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । আগামী ১ নভেম্বর তাকে হত্যার চেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে সাজা দেয়া হবে।