ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফসলের ক্ষেত। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসলের এমন দৃশ্যে নির্বাক কৃষক।
ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা, তবুও ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ।
শুধু ধান নয়, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতের আগাম সবজিও। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দাবি, এমন পরিস্থিতিতেও আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।
রাঙ্গুনিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নুর আহমদ বলেন, সদ্য শীষ এসেছে ধানে। এই সময় ঝড়ে ধান নুয়ে পড়েছে। এতে অনেক ধানের শীষও ঝড়ে গেছে। এখন এভাবে থাকলে ধান পরিপক্ষ হবে না। তাছাড়া পোকার আক্রমণও বাড়বে।
তিনি বলেন, এমনিতেই সবকিছুর দাম বৃদ্ধিতে চাষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন ফসল উঠাতে মাসখানেক বাকি থাকতেই এলো ঘূর্ণিঝড়।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিভাগের রোপা আমন আবাদ হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪২ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমি। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় আমনের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৮ হেক্টর। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৪২ হেক্টর জমির ফসল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলায় শীতকালীন শাক সবজির আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৪ হেক্টের জমিতে। এর মধ্যে ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমির সবজি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মোফাজ্জল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কিছু ফসলের জমি আক্রান্ত হয়েছে। মৌসুম শেষে বলা যাবে আমাদের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিতে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। আশা করছি এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠেতে পারবো।










