সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষতবিক্ষত সড়ক, ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সড়ক, নষ্ট হয়েছে ফসলি জমি ও তলিয়ে গেছে লবণ মাঠ।

বাঁশখালী, সন্দ্বীপ ও আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় সোমবার রাতে ঝড় অতিক্রম করার সময় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাঁশখালী উপজেলার ৮ ইউনিয়নের উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লোকালয়ে নোনাপানি প্রবেশ করে। বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রায় কোটি টাকার মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে।

জানা গেছে, সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপজেলার ছনুয়া, গণ্ডামারা, শীলকূপ, সরল, বাহারছাড়া, খানখানাবাদ, সাধনপুর ও পুকুরিয়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় উপকূলীয় এলাকার বেশ কয়েকটি মৎস্য ঘের তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।

মৎসজীবীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ছনুয়া উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। যার কারণে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে কৃষিজমির ফসল ও মৎস্যঘেরের প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে বাঁশখালীর উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছনুয়া, গণ্ডামারা, খানখানাবাদ, সাধনপুর এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এসব এলাকায় দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, খানখানাবাদ, সাধনপুর, গন্ডামারা, বাহারছড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিজমি ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছে। কিছু বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।