৩২শ’ ইয়াবাসহ তিন’ নারী আটক

টেকনাফ হতে রোহিঙ্গা নারীদিয়ে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ দিনদিন বেড়েই চলছে। আইন শৃংখলা বাহিনী যতই কঠোর হচ্ছে পাচারকারীরা তাদের নব কৌশল অবলম্বন করে পাচার কাজ অব্যাহত রেখেছে। একদিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধে নিহত। অপরদিকে থেমেথেমে ইয়াবা পাচার যেন মাদককারবারী কর্তৃক আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি বড় চ্যালেঞ্জ। এরই মাঝে ৩বাস যাত্রীকে এক্সেরে করে তাদের পেটে পাওয়া গেল ইয়াবা। হ্নীলা আলীখালী হতে অভিনব কৌশলে গিলে খেয়ে পেটের ভেতরে করে পাচারকালে বিজিবি জওয়ানেরা ৩জন মহিলাকে আটক করেছে। তারা কয়েকবছর পূর্বে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং ভুঁয়া আইডি কার্ড বানিয়ে বাংলাদেশী সেজে চলাফেরা করছে বলে জানায়।
২১মে বিকাল ৩টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) অভিযানের বর্ণনা করেন। এসময় উপাধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার উপস্থিত ছিলেন। সুত্রে জানানো হয়, গত ২০মে রাত ৮টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং বিওপি চেকপোস্টের নায়েব সুবেদার সাদেক আলী কক্সবাজারগামী পালকি সার্ভিসের একটি বাস তল্লাশী করে সন্দেহভাজন হ্নীলা আলীখালীর জাফর আহমদের স্ত্রী নুর হাওয়া (৩৫), মৃত মোহাম্মদ সিদ্দিকের স্ত্রী জরিনা খাতুন (৩৫) এবং উত্তর আলীখালীর জুবাইর হোসেনের স্ত্রী সেতেরা (৩০) কে আটক করে। তারা ইয়াবা পাচারের ঘটনা অস্বীকার করায় উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এক্সেরে করলে তাদের পেটের ভেতরে ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে ঔষুধ প্রয়োগ করে নুর হাওয়ার পেট হতে ১হাজার পিস, জরিনা খাতুনের পেট হতে ১১৫০পিস এবং সেতেরার পেট হতে ১হাজার পিস ইয়াবা বের করা হয়। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর আটককৃত মহিলা মাদক পাচারকারীদের বিকালে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।