ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সেন্টমার্টিনে উত্তাল ঢেউয়ে ১৩ ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১৩টি মাছ ধরার ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে উচ্চ জোয়ারে ও উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেন্টমার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র উপকূলে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র উপকূলে অবস্থান নেয়া ১৩টি ট্রলার ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি ট্রলার সম্পূর্ণ এবং ছয়টি ট্রলার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া দমকা হাওয়ায় উপড়ে গেছে বেশকিছু গাছপালা। এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের নৌকা, ট্রলার, জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো ইতোমধ্যেই উপকূলে ফিরে এসেছে। তিন শতাধিক নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট জেটি ঘাটে নোঙর করা আছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর জানান, বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও কিছু সংখ্যক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। তারা যাতে উত্তাল সাগরে গোসলে না নামেন এ ব্যাপারে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সতর্কতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সেন্টমার্টিনের সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।