নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি জেনে শুনে মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ঋণখেলাপি ও বিলখেলাপিদের দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি আজ সকালে নগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড় এলাকায় তার বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন টার্গেট করে নাকি বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এটা মিথ্যাচার। রিজভী আহমেদের কাজ নিয়মিত মিথ্যাচার করা।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন টিকবেনা জেনেই এক আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। মামলায় দুই বছরের অধিক দণ্ডপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এটাতো সংবিধানে লেখা আছে। আর ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন হয়েছিল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে। তিনি এখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা।
হাছান মাহমুদ বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দল (আওয়ামী লীগ) সতর্ক ছিল। শুরুতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে। রিপোর্ট সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে বাছাই হয়েছে। তারপর চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি জানতো তাদের অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হবেনা। তবুও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে নাটক করার জন্য তারা সেসব প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কান্না করে বলেছিলেন-এবারই তারা খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তার মানে তারা জানতেন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বৈধ হবেনা, তবুও নাটক করেছেন মিথ্যাচার করার জন্য।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম খুব অসুস্থ। তিনি বাংলাদেশের একজন সজ্জন রাজনীতিবিদ। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দেওয়া হয়েছিল। রিজভী আহমেদ তাকে নিয়েও মিথ্যাচার করেছেন।
তিনি বলেন, রিজভী আহমেদ একজন অসুস্থ মানসিকতার মানুষ। তা না হলে একজন সজ্জন রাজনীতিবিদকে নিয়ে এমন মিথ্যাচার করতেন না। কে বা কারা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়েছে সেটাকে সূত্র ধরে রিজভী আহমেদ মিথ্যাচার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।