শেরপুরে ঘুমন্ত কন্যাশিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা

শেরপুরে মধ্যরাতে নিজের কন্যাশিশুকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এমন হৃদয়বিদায়ক ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ১নং কুসুন্বি ইউনিয়নের উচুলবাড়িয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে। একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর তৃতীয় পুত্র ঘাতক জাকির হোসেন (৪২) একজন দিনমজুর। সংসার জীবনে পর পর দুইটি বিয়ে করেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর কোনো সন্তান না হওয়ায় তাকে তালাক দেয় জাকির হোসেন। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরের বছর ছেলে সন্তানের আশায় আবারো এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী রেবেকা খাতুন। বর্তমানে শিশু মেয়েটির বয়স ১৪ মাস। তাদের মাঝে পুত্র-কন্যা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। গত সোমবার মধ্যরাতের পর নিজের কন্যাশিশু উমাইয়া খাতুনকে তুলে নিয়ে যায় বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে।

এরপর পিতা জাকির হোসেন ওই কন্যাশিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করে। কিছুক্ষণ পর তার মা রেবেকা খাতুন ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজ সন্তানকে খুঁজতে থাকে। এ সময় গোটা গ্রামের মানুষ জেগে যায়। অনেকক্ষণ পর জাকির হোসেন জানায়, উমাইয়াকে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। তখন অনেকেই পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ঘাতক জাকিরকে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখে। গতকাল সকালে শেরপুর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় উমাইয়ার মা রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শেরপুর থানার এস আই সাচ্চু বিশ্বাস ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।