ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় গাজীপুরে গ্রেপ্তার ৯ অস্ত্র-গুলি-ককটেল উদ্ধার

গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় ককটেল ফাটিয়ে দিনে-দুপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্র, গুলি ও ককটেলসহ ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইউসুফ আলী রানা, বিধান হালদার, আনোয়ার হোসেন, মো. রুবেল, বাবুল বেপারী, জাকির হোসেন, সোলাইমান আকন, সাগর বাড়ই ও মৃদুল বাড়ই। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১৬ই আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে কাশিমপুরের এনায়েতপুরের আলীর জুট কারখানার সামনে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশাযোগে ৬-৭ জন ডাকাত ককটেল বিস্ফোরণ ও চাপাতির আঘাতের মাধ্যমে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের কর্মকর্তা শাহেদ শরীফের কাছ থেকে ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাশিমপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে সন্দেহভাজন আসামি ইউসুফ আলী রানা ও বিধান হালদারকে তেতুইবাড়ীর সানসিটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে লস্করচালার লোহাকৈর রোডের ব্রাদার্স এর খেলার মাঠের আশেপাশে ডাকাতির খবর পেয়ে গোপনে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা অতর্কিত পুলিশের ওপর আক্রমণ করে এবং তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশ পাল্টা গুলি করলে ডাকাত সদস্য সোলাইমান আকনকে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া ডাকাত দলের হামলায় মোস্তাফিজার নামে কনস্টেবল আহত হন।

পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ১২টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩টি চাপাতি, দুটি মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য ও ডাকাত সোলাইমানকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ডাকাতি, পুলিশের উপর হামলায় ৪টি পৃথক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার।