চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান আলফাজ গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিসিক ইউনিলিভার মাঠে ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে সাংগঠনিক আলোচনাকালে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আলফাজসহ ৪ জন নেতাকে মারাত্মক আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান ও মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো ছুরি, চাপাতি, কিরিচ, হকিস্টিক, রামদা সহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলফাজকে উপুর্যুপরি আঘাত করে। ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা পারভেজ, রায়হান ও আরাফাত আলী গুরুতর আহত হয়। তারা প্রত্যেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় আলফাজের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছাত্রলীগের চিহ্নিত মাদকসেবী, মাদকব্যবসায়ী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এলাকায় ঘুরাফেরা করছে এবং আলফাজের সহকর্মীদের মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য আলফাজের পরিবারকে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশের ওপর আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আসছে। কয়েকদিন আগে ঢাকার মীরপুর ও কুমিল্লায় বরকত উল্লাহ বুলুর উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ঘটনাগুলো থেকেই প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাস ও ত্রাস সৃষ্টি, হত্যা ও গুম-খুনের মাধ্যমেই বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য ধারাবাহিকভাবে ওইসব ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ। নেতৃবৃন্দ বলেন, মিছিল সমাবেশ ও সভা অনুষ্ঠান করা আমাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি ও কারাগারে নিক্ষেপ করে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে চায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিনজন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া ওঠেছে। আন্দোলন দমাতে তারা নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছে। ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ আলোচনা সভার ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারী দলের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মুখোশ উম্মোচন হয়েছে। ছাত্রদলের নেতারা বসে আলোচনা করবে সেটাকেই তারা সহ্য করতে পারছে না। সেখানে তারা বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের মারাত্বকভাবে আহত করেছে। এটা একটা বড় ধরনের ঘটনা। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। নাহয় চট্টগ্রামের এই হামলার ঘটনা একটি কলংকজনক অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত হবে। নেতৃবৃন্দ চাঁন্দগাও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আলফাজসহ ৪ জন নেতাদের উপর হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।











