মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় দুই সহোদরসহ নিহতদের জানাযা সম্পন্ন

মিরসরাই প্রতিনিধি::
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে পেছন দিক থেকে ছুটে আসা একটি মিনি কাভ্যার্ডভ্যান ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই সহোদরসহ চারজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ের মিরসরাইয়ের চট্টগ্রামমুখী অংশের সোনাপাহাড়ের রায়পুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে শেখ জাহেদ সুমন (২৮) ও শেখ ফরিদ (৩০), দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), পূর্ব রায়পুর এলাকার আবুল কাশেম (৬০)। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার গড়িয়াইশ এলাকায় একসাথে জানাযা শেষে দুই সহোদর শেখ ফরিদ ও সুমনকে একসাথে দাফন করা হয়েছে। দুজনকে কবর দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি। এছাড়াও বাকি দুইজনেরও জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এএসআই মো. মোস্তফা কামাল (৪৫), কনস্টেবল জাকির হোসেন (৪০), স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল (৫০) সিএনজি চালক রফিক (২৫), শেখ আহম্মদ (৪৫), সিএনজি চালক আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৬)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে মহাসড়কে চট্টগ্রামগ্রামী লরি ও জোনাকী পরিবহনের বাস দাঁড় করিয়ে রেখে চালকরা যখন ঝগড়া করছিলেন। তখন সিএনজি অটোরিকশার কয়েকজন চালক এসে তাদের মধ্যে মীমাংসা করার চেষ্টা করছিলেন। এসময় খবর পেয়ে সেখানে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদেরা উপস্থিত হয়ে একপাশে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন। তখন পিছন দিক থেকে সোনাপহাড় ফিলিং স্টেশন থেকে বের হওয়া একটি কাভার্ডভ্যান চট্টগ্রামমুখী লরিকে এবং জোনাকী পরিবহনের বাসকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান সিএনজিতে থাকা ২ সহদোর সহ ৪ জন। আহত হয়েছেন অন্তত আরো ৬ জন। তদের মধ্যে পুলিশ সদস্য এএসআই মোস্তফার অবস্থা আশংকাজনক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত দুই সহোদরসহ পাশাপাশি এলাকার চার জনের অকাল মৃত্যুতে স্বজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে আকাশ-বাতাস। একসাথে দুই ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক শামসুদ্দীন ও নুরজাহান দম্পতি। তাদের ২ ছেলের ইনকাম দিয়ে চলতো সংসার। তাদের ঘরে রয়েছে ছোট ছোট ৪ নাতী-নাতনী।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িগুলো আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে চালক-চালকের সহকারী কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি, তারা পালিয়ে গেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আহত এএসআই মোস্তফার অবস্থা আশংকাজনক। সে এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, এখনও পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনী।