ঈদে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা অনিশ্চয়তা

চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্যাশ-৮কিউ৪০০ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। উড়োজাহাজ সংকট থাকায় বুধবার (৯ মে) তিনটি ফ্লাইট বাতিল করে বিমান।

শুক্রবার (১০ মে) ও আগামীকাল শনিবার (১১ মে) মিলে আরো ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হলো। এ নিয়ে মোট ১০টি ফ্লাইট বাতিল করলো বিমান।

উড়োজাহাজ সংকট দেখা দেওয়ায় এবার ঈদুল ফিতরে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

ড্যাশ৮কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর এবং সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে বোয়িং ৭৮৭, ৭৭৭ ও ৭৩৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়।

তবে চলতি সপ্তাহে কাতারের আলাফকো এভিয়েশন লিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির কাছ থেকে ৬ বছরের জন্য লিজ নেওয়া দু’টি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার কথা, এ দু’টি উড়োজাহাজ যুক্ত হলে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের বহরে ১৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এরমধ্যে দু’টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০, চারটি ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ। তবে বহরে থাকা একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ মেরামতের জন্য গ্রাউন্ডেড রয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারে সংঘটিত দুর্ঘটনায় বিকল হলো একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ।

এ ব্যাপারে বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল বলেন, প্রতিটি উড়োজাহাজের নির্ধারিত শিডিউল থাকে। এতো স্বল্প সময়ে উড়োজাহাজ সংগ্রহ করাও সহজ নয়। তারপরও সংকট নিরসনে আমরা কাজ করছি।

বুধবার (৮ মে) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়া বিজি০৬০ ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অবতরণকালে মিয়ানমারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের প্লেনটি ৭৪ জন যাত্রী বহনে সক্ষম।