টেস্টে তামিমের ‘দ্রুততম’ পাঁচ হাজার

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মাঠে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে যা টাইগারদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজগুলোতেও বাংলাদেশের স্মৃতি সুখকর নয়। অতীত হিসেব না কষে নতুন সূর্যের অপেক্ষায় ছিল সাকিব আল হাসানের দল। তবে দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার মিশনের শুরুতে ফের সঙ্গী হয়েছে ব্যর্থতা। এবার ১০৩ রানে অলআউট টিম টাইগার্স। ৬ জন আউট হয়েছেন শূন্য রানের কোঠায়। টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দ্রুততম ৫ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে জয়-মুমিনুলদের ‘ডাক’ মিছিলে মিইয়ে গেছে ওয়ানডে অধিনায়কের মাইলফলক স্পর্শের আনন্দ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৫ হাজারের মাইলস্টোন স্পর্শ করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তামিম।

চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানোয় তামিমের রান দাঁড়ায় ৪৯৮১। মিরপুর টেস্টে মাত্র ১৯ রান করলেই ৫ হাজার রানের মালিক হতেন তামিম। তবে টাইগার ওপেনার মারেন দুই ইনিংসে দুই ডাক। যেকারণে অপেক্ষা দীর্ঘ হয় বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৪৩ বলে ২৯ রানে আউট হন তামিম ইকবাল। এতে ১২৯ ইনিংসে টাইগার ওপেনার ছুঁয়ে ফেলেন ৫ হাজার রানের মাইলফলক। ৫ হাজারি ক্লাবে যেতে মুশফিকের লেগেছিল ১৪৯ ইনিংস। শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুই সেঞ্চুরিতে সর্বপ্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রানের গণ্ডি টপকান মুশফিকুর রহীম। ৮২ টেস্টে ১৫১ ইনিংস ব্যাটিং করে ৫২৩৫ রান মিস্টার ডিপেন্ডেবলের। ২২৫ রানে পিছিয়ে তামিম। ৬৮ টেস্টের ১২৯ ইনিংস ব্যাটিং করে তামিমের সংগ্রহ ৫০১০ রান। পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন মুশফিক। তাই দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের বাকি তিন ইনিংসে মুশফিককে টপকানোর সুযোগ আছে তামিমের। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট রান সংগ্রাহকদের তালিকার তিন নম্বরে সাকিব আল হাসান। অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো সাকিবের মোট রান ৪১৬৫। তালিকার চারে রয়েছেন বৃর্থতার বৃত্তে বন্দি মুমিনুল হক। ৫৪ ম্যাচে ৯৯ ইনিংস খেলে ৩৫২৫ রান টাইগারদের সাবেক টেস্ট অধিনায়কের। তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান বিসিবি নির্বাচক হাবিবুল বাশার। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৫০ টেস্টে ৯৯ ইনিংস খেলে বাশার সংগ্রহ করেন ৩০২৬ রান। বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে হাজারের কোঠায় রয়েছেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৪ টেস্টের ৫৭ ইনিংসে ২০২৩ রান করেছেন লিটন। ৩৪ ম্যাচের ৬২ ইনিংস খেলে মিরাজের সংগ্রহ ১০৭৪ রান। হাজার রানের দোরগড়ায় রয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৮ টেস্টে ৩৩ ইনিংস ব্যাট করে ৮২৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি।