ভারতে তক্ষক পাচারকালে দুই পাচারকারী আটক

২ ব্যক্তি অবৈধ ভাবে নিজেদের হেফাজতে ০৩টি বন্যপ্রাণী তক্ষক নিয়ে হাটহাজারী থানাধীন কাটিরহাট বাজারের রাস্তার উপর বেচা কেনার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ মে ২০২২ ইং তারিখ রাত ৯.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
আসামী ১। মোঃ বিল্লাল হোসেন (৩০), পিতা- আঃ হামিদ মীর, সাং- ভূয়াছড়ি স্কুল টিলা, থানা- খাগড়াছড়ি সদর, জেলা- খাগড়াছড়ি এবং ২। মোঃ জসিম মীর (২৬), পিতা- আঃ হালিম, সাং- খন্তাকাটা (মীরাবাড়ী), থানা- সরনখোলা, জেলা- বাগেরহাট’কে আটক কার।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর হেফাজতে থাকা তার নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে প্লাষ্টিকের বাজারের ব্যাগে ০২টি (০১টির দৈর্ঘ্য ১১.৮ ইঞ্চি, এবং অপরটি দৈর্ঘ্য ৮.৫ ইঞ্চি) এবং সিগারেটের প্যাকেটের ভিতর ০১টি (দৈর্ঘ্য ৭.৪ ইঞ্চি) মোট ০৩টি বন্যপ্রাণী তক্ষক উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে তারা বন্য প্রাণী তক্ষক কেনাবেচা চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহযোগিতায় প্রতারণা করতঃ দীর্ঘদিন যাবত বন্যপ্রাণী তক্ষক উপযুক্ত অনুমতি ব্যতিত অবৈধভাবে নিজ দখলে রেখে চট্টগ্রামসহ আশে পাশের জেলায় কেনা-বেচা করে আসছে এবং বন্যপ্রাণী দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা টাকার বিনিময়ে উক্ত উদ্ধারকৃত তক্ষক ঢাকার অজ্ঞাত লোকের কাছে বিক্রি করার জন্য ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।
আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে বন্যপ্রাণী নিজ হেফাজতে রেখে এবং কৌশলে ভারতে পাচার করে আসছে এবং অবৈধ ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণা করে আসছে।উদ্ধারকৃত তক্ষকগুলো বন্যপ্রাণী হওয়ার কারণে বিধি মোতাবেক স্টেশন কর্মকর্তা, হাটহাজারী বিট কাম চেক ষ্টেশন, হাটহাজারী রেঞ্জ, চট্টগ্রাম এর নিকট তক্ষকগুলো হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে বনবিভাগের দায়িত প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ তক্ষকগুলো সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বনে ছেড়ে দেন।গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।