সিআইইউ এর শিক্ষার্থীদের ঘাসফুল পরিদর্শন

কোভিড পরবর্তী প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানই বাস্তব জীবনের অনন্য সম্বল – ড. মনজুর উল আমিন চৌধুরী, চেয়ারম্যান, ঘাসফুল।

‘লিভ ইন ফিল্ড এক্সপেরিয়েন্স’ ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেশন কোর্সের আওতায় আজ ০৮ ডিসেম্বর  বেলা ১১.০০টায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাস্থ ঘাসফুল প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ) এর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটি দল। শুরুতে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. মনজুর উল আমিন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ঘাসফুলের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে অবহিত করেন। চেয়ারম্যান বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সরজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে সংস্থার উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ ও জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রম সর্স্পকে জ্ঞান লাভ তাদের ভবিষ্যত কর্মজীবন বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, প্রত্যক্ষ- পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানই বাস্তব জীবনের অনন্য সম্বল। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী – গবেষকরা ঘাসফুল পরিদর্শন করেন বাস্তব জ্ঞান আহরণের জন্য। ঘাসফুল বরাবরই শিক্ষার্থী – গবেষকদের জন্য অবারিত দ্বার – এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে । পরিদর্শনকালে ঘাসফুলের প্রতিষ্ঠাতা পরাণ রহমানের জীবনীর উপর প্রামাণ্যচিত্র, সংস্থার কার্যক্রমের উপর ডিজিটাল প্রেজেন্টেশান, বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উপর ২টি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংস্থার পরিচালক ফরিদুর রহমান, উপপরিচালক মফিজুর রহমান, উপপরিচালক মারুফুল করিম চৌধুরী, সহকারী পরিচালক খালেদা আক্তার, ব্যবস্থাপক সৈয়দ মামুনূর রশীদ ও জোবায়দুর রশীদ। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা সংস্থার বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড সর্ম্পকে অবহিত হন। পরিদর্শন দলের মধ্যে ছিলো শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাওয়ার, সানজিদা রহমান, ফাতেমা আক্তার, সামিয়া আফরোজ, ফাবিহা বুশরা ও অমিতাভ চক্রবর্ত্তী। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিআইইউ এর ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক উম্মে হানি পিংকী ও নোয়াখালী সরকারী কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক মোঃ হাতেম আলী। পুরো অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন পাবলিকেশন্স বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জেসমিন আক্তার, তাকে সহযোগিতা করেন কর্মকর্তা সৈয়দা নার্গিস আক্তার ও আবদুর রহমান।