টিকা গ্রহণের কতোদিন পর সুরক্ষা মিলবে?

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পর এর কার্যকারিতা ৫৯% থেকে ৮৬% পর্যন্ত হতে পারে। দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান ১২ সপ্তাহ হলে এর কার্যকারিতা ৯২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বৃটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এ ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়। ট্রায়ালের ফলাফলের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করার পর পিসিআর টেস্টে কোভিড-১৯ পজেটিভ হওয়ার ফল ৬৭ শতাংশ কমে যায়। দ্বিতীয় ডোজের পর তা আরো ৫০ শতাংশ হ্রাস পায়। ১৭ হাজার ১৭৭ জনের ওপর এ ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়। যুক্তরাজ্যের রেগুলেটর এমএইচআরএ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রেগুলেটর ইএমএ অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সময় ধার্য করেছে ৪-১২ সপ্তাহের মধ্যে।
বৃটিশ রেগুলেটরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রথম ডোজের ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিলে শরীরে ভাইরাসবিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয় ছয় সপ্তাহের কম সময়ে দেয়া দ্বিতীয় ডোজের চেয়ে তিনগুণ বেশি। দুটি ডোজের মাঝে সময়ের পার্থক্য বেশি হলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়ে। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই বৃটিশ সরকার অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রথম ডোজের ১২ সপ্তাহ বা তিন মাস পর। টিকাটির প্রথম ডোজ ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে ৭৬ শতাংশ। এরপর ১২ সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হলে ভ্যাকসিনটি কোভিড থেকে প্রতিরক্ষা দেবে শতকরা ৮৩ ভাগ। বাংলাদেশে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ চার সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দেশে আসা টিকার মজুতের তথ্য মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। নতুন গবেষণা ও মজুত পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়ের এই ব্যবধান আরো বাড়ানো হতে পারে।