বোয়ালখালীতে কপির আবাদে লাভবান ৪০ কৃষক

পূজন সেন, বোয়ালখালী : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ফুলকপি ও বাধাকপির আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এবার ৪০ জন কৃষক প্রায় ১৬ একর জমিতে শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাধাকপির চাষ করেছেন। আগাম চাষ করায় তারা ভালো দাম পাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ, আমুচিয়া ও কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নে ৪০ জন কৃষক আগাম ফুলকপি ও বাধাকপির চাষ করেছেন। ১২ একর জমিতে ফুলকপি ও ৪ একর জমিতে বাধাকপির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি একরে ১২ হাজার ৫শত চারা রোপণ করা হয়। প্রতিটি চারা রোপণে খরচ পড়ে ৯টাকা করে। যা ১২ হাজার ৫শত চারা রোপণে খরচ দাঁড়ায় ১ লাখ ১২ হাজার ৫শত টাকা। প্রতিটি চারা কপিতে পরিণত হতে সময় লাগে প্রায় দুইমাস। প্রতি কপির গড় ওজন ১ কেজি হলে তার পাইকারি বাজার মূল্য দাঁড়ায় ২০টাকায়। ফলে ১২হাজার ৫শত কপির মূল্য পাওয়া যাবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগাম চাষ করায় ফুলকপি ও বাধাকপির পাইকারি বাজার মূল্য পেয়েছেন ৫০ টাকার ওপরে। বর্তমান বাজার মূল্যেও কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের কৃষক সুবল দে জানান, নিজস্ব ১ একর জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। গত অক্টোবর মাসে স্নোবল জাতের কপির চারা রোপণ করে দুই মাসের মধ্যে ফলন বাজার জাত করতে শুরু করেন। আগাম জাতের এ কপি এখন তারা প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন তিনি। একই এলাকার কৃষক মো. ইব্রাহিম, আব্দুল খালেক, রূপক দে, ঝুন্টু দে ও বিপ্লব দে। তারা জানিয়েছেন, এবার কপির ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে ভালো দামও পাচ্ছেন। উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র দে জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় এবার উৎপাদন খরচ অন্যান্যবারের চেয়ে একটু বেশি ছিল। তবে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক খুশি। বাজারে কপির দামও এবার বেশ ভালোই রয়েছে। বাজারে মৌসুমি ফুলকপি ও বাধাকপির চাহিদা থাকায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা এসে পাইকারি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, বোয়ালখালীতে ৪০জন কৃষক ১৬ একর জমিতে স্নোবল, স্নোহোয়াইট ও স্নোবক্স জাতের ফুলকপি এবং বাধাকপির চাষ করেছেন। গত অক্টোবর মাসে চারা রোপণ করেছেন তারা। যা দুই মাসে এক থেকে দেড় কেজি ওজনে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফলন সংগ্রহ করা যাবে। কপি চাষে প্রতি একরে কীটনাশক, সার, সেচ ও মজুরী মিলিয়ে খরচ পড়ে ১ লাখ টাকার ওপরে। দুই মাসের মধ্যে খরচ বাদ দিয়ে তারা প্রতি একরে প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন।