বাংলাদেশে স্মার্টফোনের বাজার বেশ জমজমাট

করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যেখানে স্মার্টফোনের বাজার বেশ পড়ে গেছে সেখানে বাংলাদেশের বাজার জমজমাট।

তবে ধস নেমেছে ফিচার ফোনের বাজারে। ফলে স্মার্টফোনের বাজার না পড়ায় সামগ্রিক হ্যান্ডসেটের বাজারে স্মার্টফোনের গ্রোথ বেশ বেড়েছে।

এই হিসেবে বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারের এই উর্ধ্বগতি ২০১৯ সালের স্বাভাবিক সময়েও দেখা যায়নি।

করোনার আগে ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে ফিচার ফোনের বাজার দখল গিয়ে ঠেকেছিল ৮২ শতাংশে। সেখানে স্মার্টফোনের বাজার কমে মাত্র ১৮ শতাংশে নেমে এসেছিল।

২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকেও এই হিসাবের খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি। এ সময় ফিচার ফোনের দখল ছিল ৮০ শতাংশ আর স্মার্টফোনের ২০।

২০২০ সালের করোনা পরিস্থিতির সবচেয়ে খারাপ ও অস্থির সময়টাতেই দেশের হ্যান্ডসেটের বাজারে স্মার্টফোনের দখল দেখা যাচ্ছে ২৬ শতাংশ। যেখানে ফিচার ফোনের শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারবলছেন, ডিজিটাল জীবন-যাপনের অগ্রতিতে বিশ্বে টেকসই চমক দেখানো দেশ বাংলাদেশ। করোনার মতো পরিস্থিতিতে দেশের ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিজিটাল জীবনযাপনে বাংলাদেশের মানুষ দ্রুত নিয়েছে। মানুষ স্মার্টফোনে ক্লাস করেছে, কেনাকাটা করেছে, সরকারি সেবা নিয়েছে, লেনদেন করেছে-এমন অসংখ্য কাজ করেছে।

বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ বলছে, ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বে ২৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে স্মার্টফোনের বাজার। এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বিক্রি হয়েছে ২৭ কোটি ১৫ লাখ স্মার্টফোন। আর এই হারকে অস্বাভাবিক বলছে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান।

একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পরামর্শক ও বাজার গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে. যখন করোনা সেভাবে আঘাত হানেনি তখন দেশে ফিচার ফোন বিক্রি হয়েছে ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৮ টি। এ সময় স্মার্টফোন ছিলো ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮১ টি।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে যখন করোনায় আঘাতে সব ওটলপালট অবস্থা তখন ফিচার ফোনের বিক্রিতে ধস নামে। বিক্রি ২০ লাখেরও বেশি কমে দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৭টিতে।

অন্যদিকে এই সময়ে স্মার্টফোন বিক্রি হয় ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৫৯ টি। আগের প্রান্তিক হতে মাত্র ৪৪ হাজার কম।

অপো বাংলাদেশ এইডির পিআর ও মার্কেটিং ম্যানেজার ইফতেখার সানি জানান, করোনার সময়ে তারা ভাল সাড়া পেয়েছেন। বরং অন্য সময়ের চেয়ে মানুষ বেশি স্মার্টফোন কিনেছে।

বাংলাদেশে কারখানা করেছে এমন বেশিরভাগ কোম্পানিই বলছে স্মার্টফোন ক্যাটাগরিতে করোনার প্রভাব তারা টের পাননি। স্বাভাবিক সময়ের মতোই বিক্রি হয়েছে।