পবিত্র আশুরা আজ

আজ ১০ মুহাররম, পবিত্র আশুরা। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে। আশুরা মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের একটি দিন। আরবি হিজরি সন অনুসারে ১০ মহররম কারবালায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের মৃত্যুর দিনটি সারাবিশ্বের মুসলমানরা ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করে।

কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সংক্ষিপ্ত কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) থেকে পবিত্র মুহাররম মাসের গণনা শুরু হয়। সে হিসেবে রবিবার (৩০ আগস্ট) হচ্ছে ১০ মুহাররম, যেদিনটি পবিত্র আশুরা হিসেবে পালিত হয়। এই দিন হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রাঃ) হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। দেশে শিয়া সম্প্রদায় মুহররম মাসের প্রথম ১০ দিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করে।

শনিবার (২৯ আগস্ট) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাদ যোহর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আলোচনা দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক জিলানী।

আশুরার দিনে তাজিয়া মিছিল বের করা হয় শোকের আবহে। মূলত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিল হয়। আরবি ‘তাজিয়া’ শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়।

এদিকে আশুরা উপলক্ষে সব ধরনের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে মহানগর পুলিশ । তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমামবাড়াগুলোতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে। কিন্তু এসব অনুষ্ঠানস্থলে দাঁ, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পট্কা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।