চট্টগ্রামে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলেন ৬ মামলার আসামি আবুল হোসেন (৩৯)। এসময় ফাঁসানোর কাজে ব্যবহৃত ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আবুল হোসেন রাঙ্গুনিয়া থানার আমিন কোড়ালপাড়ার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় চান্দগাঁওয়ের পশ্চিম মোহরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার আবুল হোসেন পশ্চিম মোহরা এলাকায় নাসরিন আক্তার নামে এক নারীর বাসায় অস্ত্র ও ইয়াবা আছে বলে খবর দেয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ২টায় আবুল হোসেনকে নিয়ে অভিযানে যায় র্যাব। ওই নারীর ঘরের ফলস ছাদের ওপর থেকে ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড কার্তুজ ও ড্রয়ার থেকে ২২৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু নাসরিন আক্তার নামে ওই নারী এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে আমাদের জানায়। পরে আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি ওই নারী একজন সহজ-সরল নারী। তখন আমাদের আবুল হোসেনকে সন্দেহ হয়।’
পরে জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ওই মহিলার ঘরে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে আবুল হোসেন।
আবুল হোসেন বলেন, ‘নাসিরন আক্তারের সাথে তার স্বামী ইউসুফ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনূর আক্তারের বেশ কিছুদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে ইউসুফ ও কোহিনুর নাসিরন আক্তার ও তার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা হয় অস্ত্র ও ইয়াবা নাসরিনের ঘরে রেখে র্যাবকে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করাবে। অভিযান শেষে হলে আবুল হোসেনকে ৩ লাখ টাকা দেবে বলে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী আবুল হোসেন ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাসরিনের ঘরে অস্ত্র-গুলি ইয়াবা রেখে আসে।’
অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে নাসরিন আক্তারের স্বামী ইউসুফ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নগরীর চান্দগাঁও থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা ও চুরিসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাকে চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।











