চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রাকৃতিক রাবারের বহুবিধ ব্যবহার আজ বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। রাবার থেকে হাজার হাজার দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদিত হয়। দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু কক্সবাজারের রমু এলাকায় দুই বার রাবার বাগান পরিদর্শনে এসে রাবারকে একটি শিল্পে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে দুই লক্ষ টন রাবারের চাহিদার বিপরীতে রাবারের উৎপাদন পঞ্চাশ হাজার টনের বেশি উত্তীর্ণ হয়নি। যে কারণে প্রতিবছর পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাবার পণ্য আমদানি করতে হয়। এ চাহিদা পূরণ করতে হলে রাবার উৎপাদনে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। রাবার ভিত্তিক শিল্প কারখানা বিকশিত করতে হবে। তবেই বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহজতর হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিজেকেএস জিমনেসিয়ামে প্রথম প্রাকৃতিক রাবার ভিত্তিক শিল্প পণ্য মেলার দ্বিতীয় দিবসে “প্রাকৃতিক রাবার ও রাবার ভিত্তিক শিল্প পণ্য ও এর গুণগত মান” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন বিএফআইডিসির জেনারেল ম্যানেজার ও সাবেক যুগ্ন সচিব মো মোকছেদুর রহমান, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর জাহেদা সুলতানা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হামেলা হোসেন ফাউন্ডেশনের কনসালটেন্ট ফারশাদ আলম।
মেয়র আরো বলেন, রাবার চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের পরিত্যক্ত পতিত জমি পাহাড় সবুজায়ন ও রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া রাবার কৃষিকে শিল্পে পরিনত করে সে দেশের অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করেছে। বাংলাদেশের পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল এলাকা পাহাড় নদী সমুদ্র বেষ্টিত একটি প্রাকৃতিক সুষমাম-িত অঞ্চল। রাবার চাষের মাধ্যমে বনায়ন প্রাকৃতিক সুরক্ষা বেষ্টনী গড়ে তোলা গেলে দেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, বন্যা জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ঢাল হিসেবে লোক লোকালয়কে রক্ষা করা সম্ভব হবে। তিনি মেলা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ রাবার বোর্ড কর্তৃপক্ষেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারোওয়ার জাহান বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ রাবার বোর্ড় স্বতন্ত্রভাবে কাজ শুরু করে। এই প্রথম প্রাকৃতিক রাবার ও রাবার ভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন করা হয়। আমরা এই মেলার মাধ্যমে রাবার শিল্প বিকাশের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মেলা আয়োজন অব্যাহত থাকবে। তিনি এই মেলাকে স্বার্থক করার জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।











