আজ মরহুম ফজলুল কবির চৌধুরীর পঞ্চাশতম মৃত্যু বার্ষিকী

শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ আজ ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান, সমাজসেবী, জননেতা মরহুম আলহাজ্ব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর পঞ্চাশতম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন গহিরা গ্রামে মরহুমের নিজ বাড়ীতে আজ শুক্রবার সকাল ০৯.০০ মিনিটে মরহুমের কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে পবিত্র খতমে কুরআন, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মরহুমের আত্নীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্গীদের মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো। এছাড়া ডাবুয়া হিংগলা এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদলপুর ইসলামিয়া নতুন পাড়া এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলদিয়া সাজেদা কবির চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব গুজরা সাতবাড়িয়া এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গহিরা সাজেদা কবির চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াজিষপুর সাজেদা কবির চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলদিয়া ইয়াছিন শাহ্ কলেজ এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী হল, মরহুম এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী অডিটোরিয়াম হল, মাধ্যম ফতেহ নগর সাজেদা কবির চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়, , রাউজানের হলদিয়া আমির হাটে সাজেদা কবির চৌধুরী পাঠাগার, মরহুম এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, রাউজান উপজেলা গহিরা শান্তির দ্বীপ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি, গহিরা সাজেদা কবির কমিউনিটি ক্লিনিক, গহিরা সাজেদা কবির চৌধুরী ফোরকানিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক ভাবে দিনটি উদযাপনের কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। আলহাজ্ব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী ১৯৭২ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৫৬ বছর বয়সে ঢাকাস্থ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন। মরহুম চৌধুরী সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলের নেতা এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আলহাজ্ব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী ১৯১৭ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরা গ্রামের পিতা- আলহাজ্ব খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরীর ও মাতৃকুল মধ্যযুগীয় মুসলিম মহিলা কবি রহিমুন্নেসার পৌত্রী বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরানীর ঔরসে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম পোর্ট- ট্রাষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট,মেরিন এন্ড মার্কেন্টাইল একাডেমীর গভর্ণর ও চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক কাউন্সিলের কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া তিনি রাউজান গহিরা শান্তির দ্বীপের ও রাউজান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। আলহাজ্ব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী সক্রিয় রাজনীতি ছাড়াও বহু জনহিতকর কাজ ও সেবামূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
নিজের সম্পত্তি হারিয়ে বসবাস করছেন বৃদ্ব শামশুল
আলম শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালী ঘোনা এলাকার হাজী ছালেহ আহম্মদ সওদাগরের বাড়ীর বাসিন্দ্বা শামশুল আলম । শামশুল আলম তার বাড়ীর অদুরে নিজের টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে পাকা ঘর নির্মান করেন । নির্মান পাকাঘরে তার বড়পুত্র সেলিম উদ্দিন মেজপুত্র আবুল কাসেম, তাদেও পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে । শামশুল আলমের অপর দুই পুত্র জাকের হোসেন, বেদার তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পুরাতন বসতভিটায় বসবাস করেন । শামশুল আলম তার বড় পত্র সেলিম উদ্দিন ও আবুল কাসেম ও তাদের পরিবারের সাথে নিজের ক্রয়করা জমিতে নির্মান করা পাকাঘরে বসবাস করতো । গত রমজানি মাসে শামশুল আলমের পুত্র সেলিম উদ্দিন তার স্ত্রী রুমা আকতার, আবুল কাসেমের স্ত্রী জেসমিন আকতার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত বৃদ্ব শামশুল আলমকে ফুসলিয়ে রাউজান উপজেলা সাব রোজিষ্ট্রার অফিসে এনে শামশুল আলমের মালিকানাধীন পাকা ঘর সহ জমি বাড়ীর অদুরে পুকুর সেলিম উদ্দিন তার স্ত্র রুমা আকতার, সেলিম উদ্দিনের শিশু সন্তান ওসমান গণী, আবু সাফোয়ান রাব্বি, আবুল কাসেমের স্ত্রী জেসমিন আকতার তার সন্ত্রান আয়শা মনি, ইসরাত জাহান তুষি, নুসরাত জাহান মীম, ইশরাত জাহার মারওয়ার নামে হেবা দলিল করে রেজিষ্ট্রারী করে নেয় । শাশশুল আলমের কাছ থেকে তার জমি সহ পাকা ঘর ও পুকুর হেবা দলিল রেজিষ্টারী করে নেওয়ার পর বৃদ্ব শামশুল আলমকে ঘর থেকে বের করে দেয় তার পুত্র সেলিম উদ্দিন তার স্ত্রী রুমা আকতার আবুল কাসেমের স্ত্রী জেসমিন আকতার । ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত বৃদ্ব শামশুল আলম পরে নিরুপায় হয়ে আশ্রয় নিলেন হাটাহাজারীর মেখল এলাকায় তার কন্যা বেবী আকতারের শ্বাশুড় বাড়ীতে । বর্তমানে শামশুল আলম তার কন্যার শ্বাশুড় বাড়ীতে দিন যাপন করছেন । ৮০ বৎসর বয়সী বৃদ্ব শামশুল আলম নিরুপায় হয়ে প্রতারানা পুর্বক তার কাছ থেকে পাকাঘর ওজমি ও পুকুর হেবা দলিল করে বিষয়ে চট্টগ্রাম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে তার পুত্র ও পুত্রবধু এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে(মামলা নং ১৮৫/২০২২)। এই মামলার আর্জিতে জোর করে প্রতারণার মাধ্যমে সৃষ্ট হেবা দলিল বাতিলের আবেদন করা হয়েছে। মেয়ে বাড়িতে অবস্থানকারী শামশুল আলম বলেছেন তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত। কিছুদিন আগে তার ছেলে সেলিম উদ্দিন তাকে ফুসলিয়ে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার কথা বলে গাড়ী করে রাউজান সদরে নিয়ে এসে। এরপর তার কাছ থেকে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে আবার বাড়িতে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর গত ১৪ এপ্রিল হঠাৎ করে প্রতারক পুত্র সেলিম ও তার স্ত্রী বৃদ্ধের আরেকপুত্র বেদারের স্ত্রীকে এসে বলে বাড়ি ভিটা ছেড়ে শাশুরকে নিয়ে বের হয়ে যেতে। সেলিমের স্ত্রীর দাবি তার শাশুর ভিটা তাদের ও তাদের দুই পুত্রের নামে লিখে দিয়েছে। সর্বশেষ পুত্র সেলিম ও স্ত্রীর চাপে বৃদ্ধ সামশুল আলম নিজের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয় বলে বৃদ্ধ সামশুল আলমের কন্যারা জানিয়েছে। পিতার বাড়ি ভিটা প্রতারণার মাধ্যমে দখল করার বিষয়টি নিয়ে কথা বললে পুত্র সেলিমের দাবি তার পিতা স্বেচ্ছায় তাদের সম্পতি লেখে দিয়েছেন। তার বোনরাই বাড়ি থেকে তাদের বাবাকে নিয়ে গেছে। পিতার বাড়ি ভিটা প্রতারণার মাধ্যমে লিখে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার ঘটনার বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আবসার বাশি বলেন বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন। এই ঘটনা শুনে গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার গহিরার কোতোয়ালী ঘোনায় ছুটে যায় । কোতায়ালী ঘোনা বৃদ্ব শামশুল আলমের কাঝ থেকে হেবা দলিল করে হাতিয়ে নেওয়া পাকাঘর ও জমি পরিদর্শন করেন । ঐ সময়ে বৃদ্ব শামশুল আলমের সাথে কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার । প্রতরানা করে হাতিয়ে নেওয়া জমি পুকুরের রেজিস্টারী বাতিল করার জন্য আদালতে যে মামলা দায়ের করেছেন । আদালত ঐ মামলার রায় দেবেন বলে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বৃদ্ব আবদুস সামাদ শিকদারের ভরন পোষন ও চিকিৎসার খরচ তার পুত্রদের বহন বহন করতে হবে । বৃদ্ব শামশুল আলমকে তার পুত্ররা ভরন পোষন চিকিৎসা খরচের টাকা না দিলে সরকারের আইন অনুসারে শামশুল আলমের পুত্রদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকাদার ।











