থিবো কোর্তোয়ার কারণে চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতা হয়নি লিভারপুলের। গতবারের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন অলরেডদের নয়টি প্রচেষ্টা। দুর্ভাগ্যবশত ইউরোপ সেরা না হতে পারলেও গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের সফলতম ক্লাব লিভারপুল। ২০২১-২২ সিজনে ডাবল শিরোপা জেতা দলটি ছন্দে নেই নতুন মৌসুমে। প্রিমিয়ার লীগে ৭ ম্যাচে মাত্র দুই জয় ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের। এবার লজ্জাজনক হার দিয়ে শুরু হয়েছে অলরেডদের চ্যাম্পিয়নস লীগ মিশন। বুধবার রাতে গতবারের ফাইনালিস্টদের ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নাপোলি।
নাপোলির মাঠ দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে জয়ের স্মৃতি নেই লিভারপুলের। নিজেদের ইউরোপিয়ান ইতিহাসে লিভারপুল এর চেয়ে বাজেভাবে হেরেছে একবারই। ১৯৬৬ ইউরোপিয়ান কাপে আয়াক্সের কাছে ৫-১ গোলের হার।
প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রথম ম্যাচে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ পেলো লিভারপুল। এর আগের রেকর্ডটি ছিল আর্সেনালের।
২০০৩-০৪ মৌসুমে ইন্টার মিলানের কাছে ৩-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লীগ শুরু করেছিল গানাররা।
ঘরের মাঠে আক্রমণে লিভারপুলের চেয়ে এগিয়ে ছিল নাপোলি। ৩৮ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৮টি শট নেয় স্বাগতিকরা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯টি। ৬২ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৫টি শটের ৭টি লক্ষ্যে রাখে লিভারপুল।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় নাপোলি। স্বাগতিক দলের উইঙ্গার মাত্তেও পোলিতানোর শট লিভারপুলের ডি-বক্সে জেমস মিলনারের হাতে লাগায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করে নাপোলিকে লিড এনে দেন পোলিশ মিডফিল্ডার পিওতর জেলেনস্কি।
৩১তম মিনিটে জেলেনস্কির পাসে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আন্দ্রে আঙ্গুইসা। ৪৪তম মিনিটে জিওভান্নি সিমিওনের লক্ষ্যভেদে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল।
চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রথমার্ধে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো তিন গোল করেছে নাপোলি। ২০১৯ সালে বেলজিয়ান ক্লাব কে.আর.সি জেনক্-এর বিপক্ষে এই কীর্তি দেখিয়েছিল দলটি। আর ২০১৪ সালের (রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে) পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লীগের কোনো ম্যাচে প্রথমার্ধে ৩ গোল হজম করেছে লিভারপুল।
বিরতি থেকে ফেরার ২ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৪-০ করেন জেলেনস্কি। ৪৯তম মিনিটে লুইজ দিয়াজের গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল লিভারপুল। তবে বাকি সময়ে নাপোলির গোলমুখে চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে ক্লপের দল।











